বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার গোবর থেকে তৈরি হবে CNG। এমতাবস্থায়, মধ্যপ্রদেশের প্রথম বায়ো-CNG (Bio-CNG) ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট শুরু হতে চলেছে। এর থেকে তৈরি CNG শুধু গোয়ালিয়র মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গাড়িই চালাবে না, বরং, সাধারণ মানুষকে ব্যবহারের জন্য দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। গোয়ালিয়রে অবস্থিত ওই রাজ্যের বৃহত্তম লাল টিপাড়া গোশালায় এই ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বায়ো-CNG প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিধানসভার স্পিকার নরেন্দ্র সিং তোমর এবং একাধিক মন্ত্রী ও আধিকারিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের প্রথম বায়ো-CNG (Bio-CNG) ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট:
প্রতিদিন ১০০ টন গোবর পাওয়া যায়: মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত রাজ্যের বৃহত্তম গোশালা রয়েছে গোয়ালিয়রের লাল টিপাড়ায়। কয়েক বছর আগে এই গোশালার কাজকর্মের পরিচালনা সাধুদের কাছে হস্তান্তর করা হলে এটি দেশের সবচেয়ে আদর্শ গোশালায় পরিণত হয়। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষেরা সেখানে তাঁদের জন্মদিন থেকে শুরু করে বিবাহ বার্ষিকী পর্যন্ত সবকিছু সেখানে উদযাপন করতে আসেন।
বর্তমানে এই গোশালায় ৯,৮৫০টি গরু রাখা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ১০০ টন গোবর পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে সেখানে স্থাপিত প্ল্যান্ট থেকে ২ টন বায়ো-CNG (Bio-CNG) উৎপাদন করা হবে। এই গোশালার ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত সাধু স্বামী ঋষভ দেবানন্দ জানিয়েছেন যে, মধ্যপ্রদেশের যেকোনও গোশালার ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। গোবর এবার সত্যিই টাকায় পরিণত হবে। গ্যাস উৎপাদনের পর উৎপন্ন বর্জ্য কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্ল্যান্টটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা: জানা গিয়েছে যে, এটি হল মধ্যপ্রদেশের প্রথম বায়ো প্ল্যান্ট। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, গোবর থেকে গ্যাস তৈরির জন্য এটি রাজ্যের প্রথম প্ল্যান্ট। যদিও ইতিমধ্যেই ইন্দোরে একটি বায়ো-CNG (Bio-CNG) প্ল্যান্ট রয়েছে। তবে, সেটির জন্য ভিজে বর্জ্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, এখানে শুধু গোবর ব্যবহার করা হবে। এই প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই খরচ বহন করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার জন্য বড় দুঃসংবাদ! ফের চোটের সম্মুখীন শামি, কবে ফিরবেন মাঠে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বায়ো-CNG (Bio-CNG)-র চাহিদা সাধারণ CNG-র চেয়ে বেশি। কারণ বায়ো-CNG-তে ৯৫ শতাংশ মিথেন থাকে। যেখানে সাধারণ CNG-তে থাকে ৯০ শতাংশ। এই কারণে বায়ো-CNG-তে চলা যানবাহণের মাইলেজও বেশি হয়ে থাকে।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…