খোঁজ মিলল সেই আব্বাসের, যার সঙ্গে ছোটোবেলায় ঈদ পালন করতেন প্রধানমন্ত্রী! ব্লগে করেছিলেন উল্লেখ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত শনিবার (১৮ মে) ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদীর ১০০ তম জন্মদিন। এই উপলক্ষ্যে গুজরাটের ভাদনগরে নিজের বাড়িতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে মায়ের পা ধুইয়ে দিয়ে আশীর্বাদ নেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি একটি ব্লগও লেখেন।

যেখানে মোদী তাঁর মায়ের সংগ্রামের কাহিনি উপস্থাপিত করেছেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবনের বিভিন্ন প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ওই ব্লগে। সেখানেই তিনি আব্বাস নামে এক মুসলিম যুবকের কথা উল্লেখ করেন। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আব্বাসকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রতিবেদনে তাঁর পরিচয় তুলে ধরা হল।

কে এই আব্বাস?
জানা গিয়েছে যে, আব্বাস হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছোটবেলার এক বন্ধু। শৈশবকাল থেকেই মোদী পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। যদিও, বর্তমানে আব্বাস অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। ছেলেকে নিয়ে সেখানেই থাকেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আব্বাসের দুই ছেলে। তাঁর বড় ছেলে থাকেন গুজরাটের কাসিম্পা গ্রামে। আর ছোট ছেলে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। পাশাপাশি, আব্বাস গুজরাট সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগে কাজ করতেন। কিন্তু, এখন তিনি অবসর নিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।

ব্লগে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী:
মূলত, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ওই ব্লগে লিখেছেন যে, আব্বাস হল তাঁর বাবার বন্ধুর ছেলে। কিন্তু, হঠাৎ আব্বাসের বাবার মৃত্যু ঘটায় তাঁকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন মোদীর বাবা। তারপর থেকেই মোদী পরিবারে বড় হয়েছেন আব্বাস। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেনও তাঁকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতেন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার মা ঈদে আব্বাসের জন্য খাবার রান্না করতেন। মা সবসময় অন্যদের খুশি দেখে খুশিও হতেন। বাড়ির জায়গাটা ছোট হলেও তাঁর মন ছিল বড়।”

“উৎসবের সময় মা সবাইকে খাওয়াতেন”:
মোদীর মা হীরাবেন আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের মধ্যে কখনও কোনো বৈষম্য করেননি। ব্লগে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আব্বাস আমার বাড়িতেই বড় হয়েছেন, লেখাপড়াও করেছেন। পাশাপাশি, তিনি আরও লেখেন, “উৎসবের সময় আমাদের আশেপাশের কিছু শিশু আমাদের বাড়িতে এসে খাবার খেতে আসত। আমার মায়ের বানানো খাবার তারাও খুব পছন্দ করত। যখনই কোনো সাধুসন্ত আমাদের বাড়ির আশেপাশে আসতেন, মা তাঁদের বাড়িতে ডেকে খাওয়াতেন। তাঁরা যখন চলে যেতেন, তখন মা নিজের জন্য না চেয়ে আমাদের ভাই-বোনের জন্য আশীর্বাদ চাইতেন। পাশাপাশি, তিনি তাঁদের বলতেন, আমার সন্তানদের আশীর্বাদ করুন যেন তাঁরা অন্যের সুখে সুখী হয় এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হতে পারে। আমার সন্তানদের মধ্যে ভক্তি ও সেবা জাগ্রত করতে, তাদের এইভাবে আশীর্বাদ করুন।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর