বাংলাহান্ট ডেস্ক : সবটুকু শক্তি দিয়ে লড়াই করছিলেন ধর্ষকদের সাথে। শেষে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে তার শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। পেটে ও বুকে বহুবার ছুরি চালায়। অস্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়া হয় গলার নলি। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ মৃত্যু হল সেই নির্যাতিতার। আরজি কর হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ঘোলার সেই ধর্ষিতা।
গত শুক্রবার নির্যাতিতাকে ঘরে একা পেয়ে তিন দুষ্কৃতী তাকে টেনে নিয়ে যায় একটি বাঁশ বাগানে। তিন যুবক সেইখানে মহিলাটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তুমুল লড়াই চালাতে থাকেন ওই মহিলা। বাধা পেয়ে ওই মহিলার গলার নলি কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকাবাসীরা মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছে দুজন দুষ্কৃতী। এলাকাবাসীদের হাতে ধরা পড়ে একজন।
পরিবারের সদস্যরা ওই মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করেন স্থানীয় হাসপাতালে। ওই দিন রাতেই মারাত্মকভাবে জখম ওই মহিলাকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। সেখানেই ৫ দিনের লড়াই শেষে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতিদের পরিবার মাঝে মধ্যেই তাদের বাড়ি এসে হুমকি দিচ্ছে। এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে তারা আবেদন করেছেন যাতে বাকি দুই দুষ্কৃতীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা চাই এই তিনজনের ফাঁসি হোক। আমাদের পাড়ায় অচেনা মানুষদের আনাগোনা বাড়ছে। সবাই আতঙ্কে রয়েছে।”