বাংলা হান্ট ডেস্ক: তেলের ভান্ডারে পূর্ণ সৌদি আরব (Saudi Arabia) এবার বড় ধরণের সাফল্য পেয়েছে। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (Mohammed Bin Salman) উদ্যোগে দেশটিতে পর্যটনের প্রসার ঘটতে শুরু করেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সৌদি আরবের পর্যটন শিল্প আয়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃক প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে যে, ২০২৩ সালে দেশটি পর্যটকদের আগমন থেকে ৩৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। যেটি একটি নতুন রেকর্ড। এটি সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেটি ২০২২ সালের তুলনায় ৪২.৮ শতাংশ বেশি।
জানিয়ে রাখি, সৌদির যুবরাজ ২০৩০ সালের মধ্যে তেলের ওপর দেশের আয় নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছেন এবং সেই কারণে পর্যটনকে আরও বেশি প্রচার করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী পর্যটন ক্ষেত্রর প্রথমসারিতে রয়েছে। এর পাশাপাশি, জাতিসংঘের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে। জানা গিয়েছে যে, সৌদি আরবে পর্যটকের সংখ্যা ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। সেখানকার এই সাফল্য UN ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন সহ একাধিক সংস্থার কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সৌদি আরব ২০২৩ সালের মধ্যে ১০ কোটি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যটক পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর এই বিষয়টিকেই সৌদি আরবের নীতির একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যার ফলে ২০১৯ সালের তুলনায় দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার ১ মাসে মিলবে না দুইয়ের বেশি সিলিন্ডার, স্পষ্ট জানাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলি
হজ ও ওমরাহ থেকে রেকর্ড আয়ের প্রস্তুতি: সৌদি আরব তার ভিশন ২০৩০-এর আওতায় দেশটিতে পর্যটনের প্রচার করছে। সৌদি আরবের দৃষ্টি রয়েছে হজ ও ওমরাহর দিকে। যার জন্য সারা বিশ্বের মুসলিমরা সেখানে আসেন। এদিকে সৌদি আরব হজ সুবিধা সম্প্রসারণে ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। ভারত সহ সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ করতে সৌদি আরবে পৌঁছে যান। সৌদি আরব ২০১৯ সালে মক্কা ও মদিনায় হজ এবং ওমরাহ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং সেটিকে ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার ১ মাসে মিলবে না দুইয়ের বেশি সিলিন্ডার, স্পষ্ট জানাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলি
মূলত, বিশ্বে “তেলের কূপ” হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব এখন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে চিন হোক বা ভারত, সর্বত্রই বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই কারণে ভবিষ্যতে তেলের ব্যবহার হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজ এখন তেল-গ্যাস-বহির্ভূত আয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন। এই কারণে তিনি দেশে পর্যটনের প্রচার করছেন। এজন্য এমন অনেক নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে যা দেখে মুসলিম দেশগুলিও অবাক। যুবরাজ বলেছেন যে, তিনি তাঁর দেশকে পরবর্তী ইউরোপে পরিণত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি, তাঁর নীতির প্রভাবে সৌদি আরব প্রচুর আয়ও করছে।