বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (Chaina) রাস্ট্রপতি সি জিংপিং-এর বিরুদ্ধে এখন POK তে লোকজন বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে। POK এবং গিলগিতের নেতারা চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এই নেতারা পাকিস্তানের (Pakistan) সরকারের কাছে তৎকালীন সমাপ্তির অনুরোধ করে। তাঁদের দাবি হল ওই অঞ্চলে চীনের সেনাবাহিনি বেশি পরিমাণে রয়েছে। যার দরুণ ওই অঞ্চলে করোনা ভাইরাস (COVID-19) বেশি পরিমাণে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ওখানকার এক নেতা আমজাদ মির্জা বলেন, ‘চীন এবং গিলগিত বালিকিস্তানের সীমাকে আগে বন্ধ করতে হবে। ওই অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ক্রমশই বাড়ছে। ওই অঞ্চলে এখনও অবধি ২১ জনেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গিলগিত বালিকিস্তানে কোন প্রকার মাস্ক এবং স্যানেটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না’।
গিলগিত বালিকিস্তানের মানুষ জন একত্রে চীন এবং পাকিস্তানের বিরোধ করে চলেছে। এর আগেও তাঁরা তাঁদের জনগণের উপর অত্যাচারের জন্য চীন এবং পাকিস্তানকে দোষী করেছিল। আর এই সময় সমগ্র বিশ্ব করোনা ভাইরাসের জেরে আতঙ্কে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষা বিষয়ে তাঁদের আন্দোলন করাটাই স্বাভাবিক। কারণ গিলগিত বালিকিস্তান চীনের একদম লাগোয়া। তাই সেই অঞ্চলে করোনার বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তান তো আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। আর এখন এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে তাঁদের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান যদি এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
চীনে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ এরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে গিলগিত বালিকিস্তানের নাগরিকরা বেশি আতঙ্কে রয়েছে। তাই পাকিস্তান যদি এখনই কোন সুরাহা না করে, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে।