৭০% ‘রেডি’ ভারত থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার রাস্তা! কেন্দ্রের অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসি ভয় ধরাচ্ছে চীনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘুরতে যেতে আমাদের কার না ভালো লাগে? সেই ঘোরা যদি বিদেশে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার খরচ বিস্তর। তাই অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। কিন্তু যদি বলি এবার থেকে সড়ক পথেই আপনারা গাড়ি করে চলে যেতে পারবেন বিদেশে! কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? আপনাদের জানিয়ে রাখি এমনটাই এবার সম্ভব হতে চলেছে।

সড়ক পথে গাড়ি করে এবার সহজেই ভারত থেকে পৌঁছে যেতে পারবেন থাইল্যান্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত (India) থেকে চীন (China) পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল একমাত্র স্টিলওয়েল রোড। তারই আদলে এবার কাজ চলছে এশিয়ান হাইওয়ের। ভারতের মণিপুরে প্রবেশ করার পর আপনি মায়ানমার হয়ে সোজা পৌঁছে যাবেন থাইল্যান্ড। মোদি সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি।

জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি (Nitin Gadkari) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি রাস্তা তৈরির কাজ খতিয়ে দেখেছেন। ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। দ্রুত গতিতে চলছে এই সড়ক নির্মাণের কাজ। তবে মনিপুরের সাম্প্রতিক অশান্তির জন্য কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমাধান করা হবে সেটি।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যে এই সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হবে। তারপর ভারত থেকে সড়ক পথে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে থাইল্যান্ড। ১৪০০ কিলোমিটারের এই মহাসড়কটি যৌথ ভাবে নির্মাণ করছে ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড। বাজপেয়ী সরকারের আমলে এই রাস্তাটির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর এই কাজের কোনও অগ্রগতি ঘটেনি। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকে পুনরায় রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এই মহাসড়কটি তিনটি দেশের মধ্যে দিয়ে যাবে। কলকাতা থেকে শুরু হয়ে প্রথমে শিলিগুড়ি, তারপর বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে বিহার হয়ে সড়কটি প্রবেশ করবে আসামে। তারপর ডিমাপুর ও নাগাল্যান্ড হয়ে মণিপুরের ইম্ফলের কাছে মোরেহ নামক জায়গা থেকে সড়কটি ঢুকে যাবে মায়ানমারে। মায়ানমারের বাগো ও ইয়াঙ্গুন হয়ে এই সড়কটি থাইল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছাবে।

China set conditions for India-China meeting, rejected by Indian Army

 

 

সরকারের আশা এই সড়ক নির্মাণের পর উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। একই সাথে এই সড়ক পথ আঘাত হানতে পারে চীনের অর্থনীতিতে। বর্তমানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চীনের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এই সড়কের ফলে ভারতের সাথে এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে। তখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে চীন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর