এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করলেন এক ফুচকা বিক্রেতা! তারপরই গোটা শহরে নিষিদ্ধ হল ফুচকা বিক্রি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মান্ডলা (Mandla) থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে তিন দিন যাবৎ ফুচকা খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত, ফুচকা খাওয়ার কারণে সেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই ফুচকা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ফুচকা খাওয়ার কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই ৮৪ জনের মধ্যে ৩১ জন শিশু একই এলাকার রয়েছে। মূলত, একজন ফুচকা বিক্রেতার কাছ থেকেই ফুচকা খেয়েছিল তারা।

এর পরে, গত ২৩ অক্টোবর, মান্ডলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ফুচকা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এমনকি, ফুচকার চাট বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মূলত, মান্ডলা জেলার গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় ফুচকা খাওয়ার পরে একইসাথে ৮৪ জন জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। এই অসুস্থদের মধ্যে মোট ৫৭ জন শিশু রয়েছে। পাশাপাশি, দু’জন গর্ভবতী মহিলাও রয়েছেন। এমতাবস্থায়, মান্ডলা কোতোয়ালি এবং টিকরিয়া থানায় ফুচকা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অশোক বৈরাগী নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ফুচকা বিক্রেতারা বহু বছর ধরেই তাঁদের এলাকায় আসছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ অসুস্থ হননি। এই প্রথম যাঁরা ফুচকা খেয়েছেন তাঁরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি, হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। এমতাবস্থায়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা সামনে আসার পরই তদন্ত শুরু করে খাদ্য দফতর ও পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, জালাউনে বসবাসকারী ৭-৮ টি পরিবার গত ১৫-২০ বছর ধরে মান্ডলায় বসবাস করছে। তাঁরা মান্ডালার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করেন।

এমতাবস্থায়, খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি করলে তাঁদের আবাসস্থল থেকে সাইট্রিক অ্যাসিডের অনেক মোড়ক খুঁজে পান। এদিকে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, যেখান থেকে এই সাইট্রিক অ্যাসিডের মোড়কগুলি কেনা হয় সেগুলিকে সিল করে দেন অধিকারিকরা।

WhatsApp Image 2022 10 27 at 6.53.25 PM

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে মান্ডলার জেলাশাসক হারশিকা সিং জানিয়েছেন, “ফুচকা খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা নেবে। শিশু এবং মহিলাদের (বিশেষ করে গর্ভবতী) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।” পাশাপাশি, হারশিকা আরও জানিয়েছেন যে, “মান্ডালায় যাঁরা এই জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসা করেন তাঁদের পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা ফুচকা এবং চাটের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাড়িয়ে দেবো। এর পাশাপাশি আমরা স্ট্রিট ফুড সার্টিফিকেশনের কথাও ভাবছি।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর