কাশ্মীর কিংবা সিমলা নয়, এটা হল এই রাজ্যের ছবি! আবহাওয়ার দৌলতে রীতিমতো পাল্টে গেল দৃশ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বরফের চাদরে মোড়া অবস্থায় কাশ্মীর কিংবা সিমলার নৈস্বর্গিক দৃশ্য তো আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু, এবার ঠিক সেইরকমই এক ছবি দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। মূলত, গত রবিবার তুমুল শিলাবৃষ্টিতে ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি, কমে গিয়েছে তাপমাত্রাও। এমনকি, কিছু কিছু এলাকায় এত পরিমানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে যে, রাস্তাঘাটও রীতিমতো সাদা হয়ে যায় বরফে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরি জেলায় গত রবিবার প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডিন্ডোরির পার্শ্ববর্তী জেলা শাহদোলের রাজ্য সড়কও শিলাবৃষ্টিতে রীতিমতো ঢেকে যায়। যার কারণে যান চলাচলেও প্রভাব পড়ে। এমতাবস্থায়, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় আধঘণ্টা ধরে একটানা শিলাবৃষ্টি হয়। এমনকি, খারগোনেও শিলাবৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শুধু তাই নয়, খারগোন জেলার ঝিরনিয়ার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল কাকোদা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে এই শিলাবৃষ্টি হওয়ার পরে ওই অঞ্চলে রীতিমতো কাশ্মীরের মতো তুষারবৃত দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ির শস্যাগার এমনকি উঠোনও শিলাবৃষ্টির জেরে কার্যত সাদা হয়ে যায়।

এমতাবস্থায়, এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছেন সেখানকার কৃষকেরা। খারগোনে একদিকে গম ও ছোলার মত ফসল কাটার কাজ চলছে, অন্যদিকে অসময়ের এই বৃষ্টিতে ফসলের বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আশা করছেন।

huuv5ol4 mp hailstorm 650 625x300 19 march 23

এদিকে, India Meteorological Department ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কয়েকদিন যাবৎ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর পাঞ্জাব, হরিয়াণা এবং মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের গম ও অন্যান্য রবি শস্য এখনই না কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দিল্লি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত সপ্তাহের শেষে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, গুজরাটের কিছু অংশেও অসময়ে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর