টিউশন পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক, ক্যামেরা দেখেই ‘দে দৌড়”! কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষকদের বাড়িতে টিউশন পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। যদিও, সেই নিয়মকে পাত্তা না দিয়েই এখনও কিছু স্কুল শিক্ষক বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন টিউশন। প্রায়শই এই সংক্রান্ত নানান অভিযোগ ওঠে রাজ্যজুড়ে। এবার, ঠিক সেইরকমই অভিযোগ এল হাবড়া থেকে। এমনকি, সেখানে যে সমস্ত স্কুল শিক্ষক টিউশন পড়াচ্ছেন তাঁদের ধরতে মাঝে-মধ্যেই ওই শিক্ষকদের বাড়িতে হানা দেন গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির হাবড়া ইউনিটের সদস্যরা।

শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকদের চিহ্নিত করে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা দেন তাঁরা এবং টিউশন পড়াতে নিষেধও করেন। ঠিক সেইরকমই এক অভিযানে গিয়ে এবার কার্যত নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে যে, সরকারি নিয়ম না-মেনে বাড়িতেই টিউশন পড়াচ্ছিলেন হাবড়া প্রফুল্লনগর হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই মুহূর্তেই সেখানে পৌঁছে যান গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।

এমতাবস্থায়, কার্যত হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। সেদিন সংগঠনের সদস্যরা হাবড়া স্টাফ কোয়াটার এলাকায় সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিউশন পড়ানোর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়ে টিউশন না পড়ানোর আর্জি জানাবেন। কিন্তু, সেখানে সদস্যরা পৌঁছতেই পড়ুয়াদের ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে রীতিমতো দৌড় দিতে শুরু করেন স্কুল শিক্ষক সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, তাঁকে ছুটতে দেখে তাঁর পেছনে ধাওয়া করেন গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরাও। এমনকি, কিছু পরেই তাঁকে ধরে ফেলেন সমিতির সদস্যরা। আর এই পুরো ঘটনাটিই রেকর্ড করা হয়। যদিও, ধরা পড়ার পড়েই ওই শিক্ষক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তিনি আদৌ গৃহশিক্ষকতা করছিলেন না।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক অমিত দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে কোনো সরকারি স্কুলের শিক্ষক আর টিউশন পড়াতে পারেন না। এমনকি, প্রতিবছর প্রত্যেক শিক্ষক ডিআই-কে এই মর্মে একটি মুচলেকা জমা দেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও হাবড়া অশোকনগরের কিছু স্কুল শিক্ষক বেআইনিভাবে টিউশন করে চলেছেন।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “আমরা সেই সব শিক্ষককেই সংবর্ধনা দিতে পৌঁছে যাই তাঁদের ঠিকানায়। কিন্তু সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ভুল করেছেন বুঝতে পেরে দৌড়ে পালিয়ে যান।” পাশাপাশি, এমন ঘটনার সম্মুখীন তাঁরা আগে কখনও হননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর