বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। মূলত, দেশের অন্যান্য গণপরিবহণগুলির তুলনায় ট্রেনে চেপে ভ্রমণ যথেষ্ট সস্তা হওয়ায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যাত্রীসংখ্যাও। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ ট্রেনে চেপে যাতায়াতের মাধ্যমেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমনকি, দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রেও ট্রেনের জুড়ি মেলা ভার। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রেল। পাশাপাশি, ট্রেন সফরের সময় কমিয়ে আনার জন্য শুরু করা হচ্ছে একাধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেনও।
কিন্তু, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের এমন একটি ট্রেনের প্রসঙ্গে জানাবো যেটি মাত্র ৪৬ কিমি যেতে সময় নেয় ৫ ঘন্টা। হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, কচ্ছপের গতিতে চলা এই ট্রেনটি অবাক করে সবাইকে। আমাদের দেশেরই একটি রুটে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এই ট্রেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সিমলার টয়ট্রেনের মতোই এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনটিও টয়ট্রেন হিসেবে চলাচল করে। পাশাপাশি, তামিলনাড়ুতে এই রুটটি দেখা যায়। তামিলনাড়ুর মেট্টুপালায়ম থেকে উটি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই রুট। সর্বোপরি, রুটটিতে যে ট্রেনটি চলাচল করে তার নাম হল নীলগিরি প্যাসেঞ্জার। এদিকে, এই ট্রেনটিই মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময়ে নেয় পাঁচ ঘন্টা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মেট্টুপালায়ম থেকে উটি পর্যন্ত দূরত্বে ঘন্টায় মাত্র ১০ কিমি গতিবেগে চলাচল করে নীলগিরি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। মূলত, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চলাচলের জন্যই ওই ট্রেনটিকে যতটা সম্ভব ধীরগতিতে চালানো হয়। এমনকি, এই রুটে থাকা নয়নাভিরাম নৈস্বর্গিক দৃশ্য দেখার জন্য ওই ট্রেন পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮৫৪ সালে এই ট্রেনটি চালানোর বিষয়ে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, ১৮৯১ সাল নাগাদ ওই সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়। এমতাবস্থায়, সমগ্ৰ কাজটি শেষ হয় ১৯০৮ সালে। এদিকে, বর্তমান সময়ে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই ট্রেনটি। এমনকি, ট্রেনটি তাঁর এহেন অভিনব বৈশিষ্ট্যের জেরে বারংবার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামেও।