বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রেট বৃদ্ধি পেল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) কার্ডের। বাড়ানো হল বেশ কয়েকটি চিকিৎসা খাতে বরাদ্ধ অর্থের পরিমাণ। এর ফলে রাজ্য সরকারের আরও অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি রাজ্যের সকল নাগরিকই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আয়ত্তায়ভুক্ত হবেন, বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারপর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রদানেরর কাজ শুরু হয় জোরকদমে। নির্বাচনের আগে ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখার তৃণমূলের কৌশল বলেও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল বেসরকারি হাসপাতালে মিলছে না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা। কিন্তু সে সমস্যার সমাধানের পর এবার এই খাতে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথীর জটিলতা কমিয়ে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এবারে একসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা দেওয়ার অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সঙ্গে আজকে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় রেট বাড়ানোর আবেদন তারা করেছিলেন। এবার তাদের আবেদন মেনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রেট বৃদ্ধি করা হল’।
রেট বৃদ্ধি করায় সরকারের আরও ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে যা সমস্যা হয়েছে, এবার সেগুলো বন্ধ হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কার্ডিও থোরাসিক, সিএপিডি, আইসিইউ-র মত ৫ টি বিভাগের রেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই স্বাস্থ্যসাথী খাতে বছরে আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে সরকারের। তার মধ্যে প্রতিদিন ৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে’।