বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না। এমনটাই নির্দেশ ছিল সর্বোচ্চ আদালতের।
যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীর B.Ed এবং D.El.Ed বা D.Ed উভয় প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকেন তবে প্রাথমিকে অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন। সুপ্রিম নির্দেশের পরই দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। ২০২০ সালে চাকরি পাওয়া অধিকাংশ শিক্ষকই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন B.Ed ডিগ্রির ভিত্তিতে। কারণ সেই সময়ের নিয়ম অনুসারে B.Ed থাকলেই প্রাথমিকে আবেদন করা যেত।
এই পরিস্থিতিতেই এবার সেসব B.Ed ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষেই এই প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকদের D.El.Ed প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও তাদের আর কোনও ভয় থাকবে না।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বোকা ভাববেন না, ভুল ধরলে কেঁদে কূল পাবেন না’, কার ওপর ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি?
অন্যদিকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে নতুন বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল শীর্ষ আদালতের রায়ের ফলে তাদেরও ভবিষ্যত অনিশ্চিত। কারণ সেখানে B.Ed প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীদের সংখ্যাই বেশি। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ পর্ব ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪-৪ টে ঘূর্ণাবর্ত! ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টি, তাণ্ডব চলবে দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায়
এবার প্রশিক্ষণহীনদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী রাজ্যসরকার। ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়ে D.El.Ed বা D.Ed প্রশিক্ষণহীন দের নামের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই তালিকা দেখে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।