বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইচ্ছা করে কেউ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ গোপন করলে কিংবা ভুল তথ্য দিলে তার জেল অবধি হতে পারে। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে কার্যকর হয়েছে ১৮৯৭ সালের ‘দ্য এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট’ (The Epidemic Diseases Act ‘) বা মহামারী (প্রতিরোধ) আইন।
বাংলা-সহ দেশের অনেক জায়গাতেই লাগু হওয়া এই আইনের ২ নম্বর ধারায় রাজ্য সরকারগুলিকে মহামারী মোকাবিলায় যে কোনও ধরনের কঠোর পদক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে বলা আছে মহামারী ঠেকাতে যদি এমন কোনও পদক্ষেপ করার প্রয়োজন হয়, যার জন্য কোনও আইনি অধিকার সরকারের হাতে নেই, তা হলেও এই আইনের উপরে ভিত্তি করে সরকার সেই পদক্ষেপ করতে পারবে। কেউ যদি নিজের বা পরিচিত কারও অসুখের কথা ইচ্ছে করে গোপন করেন তবে তাকে গ্রেফতারও করা যেতে পারে। এই আইনে যে সাজার কথা বলা হয়েছে তাতে অসুখের তথ্য গোপন করার জন্য ছ’মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। এছাড়াও অন্যের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন এই অভিযোগে জেল-জরিমানার পাশাপাশি সংক্রমিত ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে সরকার।
শনিবার ওই আদালতের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ ভ্রমণের তথ্য লুকালেও তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ ভাইরাসটি ছড়াতে সহায়তা করলে জননিরাপত্তা আইনে তাকে অভিযুক্ত করা যাবে। গুরুতর ক্ষেত্রে সে অপরাধের শাস্তি ১০ বছরের জেল, যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া জ্বর, কাশি অথবা অন্য কোনো রোগে আক্রান্তদের সড়ক, রেল কিংবা বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
সম্প্রতিই এই আইন বলে লখনউতে এক ব্যক্তি ও তাঁর পুত্রবধূকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুগল ইন্ডিয়ার এক করোনা আক্রান্ত কর্মীর স্ত্রী ও বাবাকে মহামারী প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই গুগল কর্মীর স্ত্রীকে রেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান তাঁর লালরসের পরীক্ষা রিপোর্ট মেলার আগেই। এই গোটা বিষয়টা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে অসহযোগিতা বলেই মনে করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ও ২৭০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।