বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালটি ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য চরম অরাজকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি বছর। গত বছরই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক শহরে বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকারের শুধু পতনই হয়নি, বরং, তাঁকে বাংলাদেশও ছাড়তে হয়েছে। এদিকে, এহেন বিক্ষোভের কয়েক মাস পর ঢাকায় দ্বিতীয় দফায় ছাত্র আন্দোলনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে রয়েছে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের ছাত্র আন্দোলন:
জানিয়ে রাখি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশ পড়ুয়া রাস্তায় নেমেছে। গত ২৭ জানুয়ারি সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ৭ টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ৬ টি দাবিতে বড় ধরণের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। ওইসব দাবি পূরণের সময়সীমাও দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর বিক্ষোভে যেতে পারে শিক্ষার্থীরা। আসলে, ওই শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করারও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
“দাবি না মানা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে”: বাংলাদেশে (Bangladesh) আন্দোলনরত পড়ুয়াদের প্রধান দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। এছাড়া তাঁরা আরও কিছু দাবি তুলে উপস্থাপিত করেছে। ওই দাবি মানা না হলে কঠোর অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা। এই প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজে স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশনের সাধারণ সম্পাদক সজিব বলেন, “শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে, অনেক জায়গায় অবরোধ রয়েছে। এর পরিণতি কী হবে বলতে পারব না। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, সামগ্রিক বিষয়টি পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহও। তিনি বলেন, বাংলাদেশে (Bangladesh) ছাত্র আন্দোলনের গতিপথ এখনও স্পষ্ট নয় এবং এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। সূত্র বলছে, অনেক ছাত্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো প্রধান দলগুলি ছাড়াও এর মধ্যে বামপন্থী দলগুলি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলে স্থান পেলেন না রোহিত এবং যশস্বী, ঘোষণা হল স্কোয়াডের
দেশে স্থায়ী সরকার প্রয়োজন: কলিমুল্লাহ বলেছেন যে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এবং একটি স্থায়ী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই ধরণের প্রতিবাদ বাংলাদেশে (Bangladesh) শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে। এই পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিবেশ বিরাজ করছে এবং ছাত্র আন্দোলন এই অরাজকতাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।