বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমাদের দেশের সেনা লাগাতার আধুনিক টেকনোলজি ব্যাবহার করে নিজেদের রণনৈতিক দিক থেকে সক্ষম করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই কারণে সেনা তাঁদের যুদ্ধের রণনীতিতে অনেক বদল এনেছে। আর এরফলে এবার থেকে আমাদের দেশের সেনার মাসের পর মাস যুদ্ধ লড়তে হবেনা। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শত্রুদের হারের স্বাদ বুঝিয়ে দেবে ভারত। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার এমন কিছু যুদ্ধ রণনীতি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা রাজস্থানের পোখরাণে করা হচ্ছে। পোখরাণে ভারতীয় সেনা বিশেষ ভাবে যুদ্ধ অভ্যাস করছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে বেশিরভাগই আধুনিক হাতিয়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে।
দুই দিনের যুদ্ধ অভ্যাসের শুভারম্ভ রবিবার পোখরাণের ফায়ারিং ফিল্ড রেঞ্জে শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে স্থল সেনা আর বায়ু সেনার জওয়ানেরা অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধ অভ্যাসে অংশ নেওয়া জওয়ানদের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি বলে জানা যাচ্ছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে সেনার জওয়ানদের যুদ্ধের সময় ধৈজ্য পূর্বক কাজ করা আর শত্রু আস্তানাকে ধ্বংস করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কাল্পনিক শত্রু আস্তানা বানানো হয়েছে। ওই আস্তানা গুলোতে হাইটেক বিমানের মাধ্যমে বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
Rajasthan: The Sudarshan Chakra Corps of the Indian Army held a firing exercise 'Sindhu Sudarshan', today in Jaisalmer. Around 40,000 jawans participated in the exercise which will continue till 5th December. pic.twitter.com/sTAVmhgkSy
— ANI (@ANI) October 21, 2019
শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ৪০ হাজারের বেশি সৈনিক এই যুদ্ধ অভ্যাসে অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধ অভ্যাসের নাম সিন্ধু সুদর্শন রাখা হয়েছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে স্থল সেনার ২১ স্ট্রাইক কোর (সুদর্শন শক্তি) এর প্রয়োগ করা হয়েছে। এই যুদ্ধ অভ্যাস পোখরাণ ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের ১০০ মিটারের মধ্যে করা হয়েছে। এই অভ্যাসে স্বদেশী বন্দুক, বোফোর্স তোপ, মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার আর টি-৯০ ট্যাঙ্ক গুলোকে যুক্ত করা হয়েছে।
এই যুদ্ধ অভ্যাসে রাশিয়ার রকেট লঞ্চার সিস্টেমকেও ব্যাবহার করা হয়েছে। ওই রকেট লঞ্চার সিস্টেম দিয়ে ৭২ ক্লাস্টার বোম ফেলা যেতে পারে। এই যুদ্ধ অভ্যাস শত্রুদের ঘুম উড়িয়ে দেওয়া যুদ্ধ বিমান জ্যাগুয়ার আর মিগ-২১ কেও প্রয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়াও জওয়ানদের হেলিকপ্টার রুদ্র আর অটোমেটিম বিমান ব্যাবহার করার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এই অত্যাধুনিক ম্যাশিন গুলো ব্যাবহার করে কম সময়ের মধ্যে কিভাবে শত্রুদের বিনাশ করতে হবে, সেটা শেখানো হয়েছে জওয়ানদের। শোনা যাচ্ছে যে, তিন বছরে একবার স্ট্রাইক কোর যুদ্ধ অভ্যাস করে। সৈন্য বিশেষজ্ঞ লাগাতার সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখে। এরপর ওনারা অভ্যাস অনুযায়ী নাম্বার দেন।