বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে সুন্দরবনকে (sundarban) নিয়ে এক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দ্রুতই সুন্দরবনকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আর এই কাজের জন্য নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে।
এই দাবি প্রথমবারের জন্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বহুদিন ধরেই সুন্দরবনকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করার চিন্তা ভাবনা করা হলেও, এবিষয়ে এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এই কাজে কোন গতি না থাকায় কিছুটা ক্ষোভের সুরেই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিষয়টা হল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে পড়ছে সুন্দরবন। কিন্তু সুন্দরবনের মানুষের কোন প্রয়োজনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা সদর আলিপুরে সবসময় যাতায়াত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যার ফলে তাঁদের নানারকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়। বঞ্চিত হন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও।
এই সকল কারণেই জন্যই সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে করে সেখানকার মানুষ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন এবং কোন সমস্যায় তাঁরা সহজেই সমাধান পেতে পারেন। তবে সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার পর হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখা- এই এলাকাগুলো কোনভাগে যাবে সেটাই দেখার।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫ বছর ধরে এই বিষয়টা পড়ে রয়েছে। সুন্দর কবে আর পৃথক জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে? তাড়াতাড়ি দেখো বিষয়টা। কোন কোন এলাকাকে সুন্দরবনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে তার মানচিত্র তৈরি করে দিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাই দ্রুতই এই কাজ করতে হবে’।