বাংলা হান্ট ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা চলাকালীন শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবিতে কার্যত শোরগোল পরে গিয়েছে সমগ্ৰ দেশজুড়ে। এমনকি, ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকা সিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমবতাবস্থায়, সমীক্ষার কাজ সেরে জ্ঞানবাপী মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা আইনজীবীরা বিভিন্ন দাবি করেছেন। পাশাপাশি, একদিকে হিন্দু পক্ষ দাবি জানিয়েছে যে, তারা এমন প্রমাণও পেয়েছে যেগুলিতে প্রমাণিত হয় ওখানে মন্দির ছিল।
অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষ এই সমস্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। উভয় পক্ষই এখন আদালতে হাজির হয়ে এই রহস্য সমাধানে তাদের ভূমিকা পালন করবে। তবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সমীক্ষার এই তিন দিনে ঠিক কি কি ধরনের প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
সাদা দেওয়ালের ভালো ভাবে পরীক্ষা:
জানা গিয়েছে যে, সেখানে একটি দেওয়াল সাদা রং করা হয়েছিল। তাই সেটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করা হয়। যদিও, বেসমেন্টের ভেতরের একটি অংশে ধ্বংসাবশেষ ও জল থাকায় পুরো সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তদন্তের কথা বললে বিবাদী পক্ষ আপত্তি জানায় বলে জানা গিয়েছে। এই পুরো সমীক্ষাতে ভিডিওগ্রাফির জন্য বিশেষ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
ধর্মীয় প্রতীক প্রাপ্তির দাবি:
ওই সমীক্ষা চলাকালীন, বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতীক যেমন স্বস্তিকা, হাতি এবং পদ্মের প্রতীক দৃশ্যমান ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
কাশী বিশ্বনাথের ঈশান কোণে শ্রিংগার গৌরীর উপস্থিতির দাবি:
এই প্রসঙ্গে শ্রী কাশী বিদ্বত কর্মকান্ড পরিষদের জাতীয় সভাপতি আচার্য অশোক দ্বিবেদী দাবি করেছেন যে, শ্রী কাশী বিশ্বনাথের ঈশান কোণে শ্রিংগার গৌরী উপবিষ্ট রয়েছেন। মূলত, কাশীর মন্দিরের ইতিহাস ও তথ্যের উপর ভিত্তি করে কুবেরনাথ সুকুলের বারাণসী বৈভব বইটি উদ্ধৃত করে তিনি এই দাবি করেছেন।
সমীক্ষা চলাকালীন বেশ কিছু সাক্ষ্য মাটি চাপা অবস্থায় মেলে:
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে কমিশনের সমীক্ষার দ্বিতীয় দিনে গম্বুজ, প্রাচীর ও মেঝে পরীক্ষা করার সময়ে অনেক সাক্ষ্য মাটি চাপা অবস্থায় পাওয়া যায়। যার ফলে দেয়ালে রং করা এবং মেঝেতে পুঁতে রাখা ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের তরফে নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারের দলকে ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, কমিশনের কার্যক্রম চলাকালীন দলের কয়েকজন সদস্য প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
তৃতীয় দিনের সমীক্ষায় শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি:
এই সমীক্ষার তৃতীয় ও শেষ দিনে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষার দলটি নন্দীর কাছের কূপ থেকে অবশিষ্ট এলাকায় অনুসন্ধান করে এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিও সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায়, কোনো পক্ষই সমীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কিছু জানাচ্ছে না। ভিতরে কি খুঁজে পাওয়া গেল? কি প্রমাণ রেকর্ড করা হল? এই বিষয়েও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেননি।