এবার আর হবে না দুর্ঘটনা! পরীক্ষণ সফল হল স্বদেশী ‘কবচ’ সিস্টেমের, খুশির খবর শোনাল রেল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রেলপথকে (Indian Railways) গতিশীল করে তোলার পাশাপাশি যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ের আগ্রা ডিভিশন একটি বড় সুখবর দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় চলা একটি সেমি হাই স্পিড ইঞ্জিনে ট্রেনের সংঘর্ষ প্রতিরোধের কৌশল তথা “কবচ” ব্রেকিং প্যারামিটারের দক্ষতার যাচাই করা হয়েছে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ, এই প্রযুক্তির ফলে ট্রেনের সংঘর্ষের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।

উল্লেখ্য যে, রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO) দ্বারা “কবচ” তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ট্রেনের চালক সময়মতো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে জরুরি পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয় ব্রেকিং করা সম্ভব। জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় রেল ট্রেনের চলাচলের সময়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তার নেটওয়ার্কে এই সিস্টেমটি প্রয়োগ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

   

The test was successful of the indigenous 'Kavach' system

কি জানিয়েছে আগ্রা রেলওয়ে বোর্ড: এই প্রসঙ্গে আগ্রা রেলওয়ে বিভাগের PRO প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে, নর্থ সেন্ট্রাল রেলের ডেপুটি চিফ সিগন্যাল এবং টেলিযোগাযোগ ইঞ্জিনিয়ার কুশ গুপ্তের তত্ত্বাবধানে, একটি সেমি-হাই স্পিড ইঞ্জিন WAP-5-এ “কবচ” সিস্টেম ইন্সটল করার মাধ্যমে ১৯ জানুয়ারি পালওয়াল-মথুরা সেকশনে পরীক্ষা চালানো হয়। ওই বিভাগে সেটি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলাচল করে। তিনি বলেন, “সামনে রেড সিগন্যাল দেখে ইঞ্জিন চালককে ব্রেক না লাগাতে বলা হয়েছিল। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম ‘কবচ’ সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক প্রয়োগ করে এবং সংকেতের আগে ইঞ্জিন বন্ধ করবে কিনা।”

আরও পড়ুন: জ্বলে পুড়ে মরছে চিন! তাইওয়ানের সংস্থার CEO-কে ভারতে চিপ তৈরির জন্য পদ্মভূষণ মোদী সরকারের

প্রশস্তি শ্রীবাস্তব বলেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ইঞ্জিনিয়ার এবং অফিসাররা জেনে খুশি হয়েছেন যে রেড সিগন্যালের ৩০ মিটার আগে ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি, এটি অন্যান্য নিরাপত্তার মানও পূরণ করেছে। উল্লেখ্য যে, WAP-5 লোকোমোটিভ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে যাত্রীবাহী কোচ টানতে সক্ষম এবং এটি শতাব্দী এবং গতিমান এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষাটি সকাল ১০টায় উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবন থেকে শুরু হয় এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ১ টা ২০ নাগাদ হরিয়াণার ডাউন লাইনে পালওয়ালে শেষ হয়।

আরও পড়ুন: চমকের পর চমক! এবার রিঙ্কুর দাপটের কাছে পরাজিত রোহিত-কোহলি, নয়া নজির গড়লেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা

শ্রীবাস্তবের মতে, উত্তরপ্রদেশ লাইনের দিকে পালওয়াল থেকে বৃন্দাবন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি দুপুর ২ টো থেকে ৩ টে ৩৫-এর মধ্যে পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, এখন ওই বিভাগ শীঘ্রই যাত্রীবাহী কোচ সহ ট্রেনগুলিতে পরীক্ষা চালাবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর