“ভগবান আমাকে ক্ষমা করো”, মন্দিরে চুরির পর দেবতাকে চিঠি লিখে সব সামগ্রী ফেরত দিল চোর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিনই একাধিক চুরির ঘটনা সামনে আসছে। এমনকি, প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে এহেন ঘটনা। যদিও, তাদের মধ্যে এমন কিছু চুরির ঘটনা থাকে যেগুলি ঘটনার ঘনঘটায় খুব সহজেই সকলকে অবাক করে দেয়। এমনকি, নেটমাধ্যমেও (Social Media) সেগুলির প্রসঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। সেই রেশ বজায় রেখে এবার মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) থেকে চুরির একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, সেখানকার বালাঘাট জেলার একটি মন্দিরে এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। একজন চোর ওই মন্দির থেকে জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে গেলেও পরে সমস্ত সামগ্রী ফেরত দিয়ে যায় সে। শুধু তাই নয়, চুরি করা জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি চোর একটি চিঠির মাধ্যমে ক্ষমাও চেয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই সেই চিঠির ছবি সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সামনে এসেছে।

পাশাপাশি, ওই চিঠিতে লেখা আছে যে, “এই কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যে ভুল করেছি তার জন্য ক্ষমা করবেন। এতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। সেই কারণেই আমি এগুলি (চুরি করা সামগ্রী) ফিরিয়ে দিচ্ছি। যিনি এগুলির সন্ধান পাবেন, তিনি যেন জৈন মন্দিরে ফিরিয়ে দেন। আমি লামতার এক বাসিন্দা।” এদিকে স্বাভাবিকভাবেই এই চিঠি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি লামতা থানার বাজার চকে অবস্থিত শান্তিনাথ দিগম্বর জৈন মন্দিরে ঘটেছে। গত ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার রাতে মন্দিরে চোর প্রবেশ করে সেখান থেকে ৯ টি রুপোর ছাতা সহ বেশ কিছু রুপো ও পিতলের সামগ্রী চুরি করে নেয়। এমতাবস্থায়, এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এদিকে, পরে এই চুরি যাওয়া সামগ্রীগুলি পঞ্চায়েত ভবনের কাছে একটি গর্তে পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।

মূলত, জৈন সমাজের লোকজন জল ভর্তি করতে গেলে গর্তে একটি ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগটা খুলতেই তার ভেতরে কিছু রুপোর সামগ্রী পাওয়া যায়। এদিকে, এরপরে মন্দির কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয় এবং জিনিসপত্রগুলি মন্দিরে ফিরিয়ে দেওয়াও হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে একজন চোর প্রথমে মন্দিরে থাকা দেবীর মূর্তির সামনে হাতজোড় করে প্রণামের পর চুরি করতে শুরু করে। এদিকে, সেই পুরো দৃশ্যটি সেখানে থাকা সিসিটিভিতে ধরা পড়ে যায়। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর