বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দাপটে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এর জন্য ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিল বহু শ্রমিক। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর অনুমতি দেওয়া হবে। গতকাল বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাসে করে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ছবি উঠে এসেছিল। শুক্রবার মে দিবসের সকালে তেলেঙ্গানা (Telangana) থেকে প্রায় এক হাজার শ্রমিককে নিয়ে ট্রেন রওনা দিল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) উদ্দেশে।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বুধবার জানিয়েছিল, লকডাউনের মধ্যে ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিক এবং ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে কেন্দ্র। স্পষ্ট বলা হয়েছে, যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই তাঁরাই কেবল বাড়ি ফিরতে পারবেন। রাজ্যগুলিকে নোডাল বডি গঠন করে পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বলে কেন্দ্র। পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্য দাবি জানায়, শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেনের বন্দোবস্ত করুক সরকার। আংশিক ভাবে সেই দাবি মেনেও নেয় দিল্লি (Delhi)। সেই মতো আজ রওনা দিল প্রথম ট্রেনটি।
লকডাউন(lockdown) ঘোষণার পর থেকেই ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি সামনে এসেছে। বাড়ি ফিরতে চেয়ে কোনও যানবাহন না পেয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটতে দেখা গিয়েছে শ্রমিকদের। পথে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। লকডাউন চলাকালীন দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসে শ্রমিকদের গিজগিজে ভিড় এবং এপ্রিলে বান্দ্রার শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল পড়ে যায়। বিরোধী দলগুলি দাবি জানায়, ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। সেইরকম কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কেন্দ্র। তবে বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
অনেকের বক্তব্য, শ্রমিকদের এই যাতায়াত কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তার কারণ কেন্দ্রকে যেমন কয়েক লক্ষ শ্রমিককে নিজেদের রাজ্যে.পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে তেমনই তাঁরা রাজ্যে পৌঁছনোর পর রাজ্য সরকারগুলির উপর দায়িত্ব থাকবে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের যথাযথ স্ক্রিনিং করা। নাহলে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই যেমন পশ্চিমবঙ্গ.সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে শ্রমিকরা ফিরলেও কন্টেইনমেন্ট জোনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।