আমেরিকা থেকে বিদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানিয়েছে ট্রাম্প সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছিল ভারত (India)। তেমনই আবার ভারতে বসবাসকারী ভিনদেশী নাগরিকদের ইচ্ছানুযায়ী তদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে বেশ কিছু মার্কিন নাগরিক তাঁদের দেশে ফিরে যেতে চায়নি। ভারতে যত সংখ্যক বিদেশি নাগরিক ছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ নাগরিক ভারত ছেড়ে নিজেদের দেশে ফেরত যেতে চায়নি। এর পিছনে নানা কারণ ছিল।

ttttttttt

মার্কিন নাগরিক ভারত থেকে যেতে চাইছে না কারণ, বর্তমানে আমেরিকার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রায় ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে। এছাড়াও ভারতের মতো সুচিকিৎসা ব্যবস্থা মার্কিনে না থাকার দরুণ তারা যেতে চাইছে না। ভারতে যে চিকিৎসা করতে অনেক অল্প খরচায় হয়ে যায়, আমেরিকায় সেই চিকিৎসা করতে অনেক পরিমাণে অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। যদি কোন ব্যক্তির মেডিকেল ইন্সোরেন্স না করা থাকে, তাহলে পুরো খরচাটাই নিজে থেকে দিতে হয়। মার্কিন সরকার ভারতের মতো করে নাগরিকদের পাশে দাঁড়ায় না।

এই পরিস্থিতিতে যদি মার্কিন নাগরিকরা আমেরিকায় চলেও যায়, তারা প্রথমেই করোনা সংক্রমণের মধ্যে পড়বে। এবং তার চিকিৎসার জন্য পুরো অর্থটাই নিজেকে দিতে হবে, যেটা ভারতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হচ্ছে। প্রথদিকে ভারতে কয়েকজন ইটালিয়ান অধিবাসীদের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। ভারত সরকার তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমেরিকায় এই সুবিধা নেই।

unnamed 30

আমেরিকায় মৃত্যুর পর সরাসরি তাঁদের কবরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোন মানবিকতাও দেখানো হচ্ছে না। তাই মার্কিন নাগরিকরা এখন ভারত ছেড়ে তাঁদের দেশে ফেরত যেতে চাইছে না। উল্টে আমেরিকা সেখান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ভারতে ফিরিয়ে দিচ্ছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের ১ সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা ছারার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি। কারণ তিনি মনে করছেন, তিনি এই সংকটের মধ্যে তাঁদের সুরক্ষা প্রদান করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে ভারত নিজের দেশের নাগরিকদের ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে। আবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন দেশ তাঁদের দেশের নাগরিকদের না ফিরিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে ওইসব দেশের ভিসা বাতিল করা হতে পারে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর