বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০১৯ সালের নভেম্বর, চীনের (China) হুবেইয়ের উহান শহরের সি ফুড মার্কেটের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে একটি অজানা রোগের সন্ধান মিলেছিল। যে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই মানুষের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকাশ ঘটছিল। সেই সঙ্গে কাশি, হাঁচি লেগেই ছিল। বহু চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারছিল না আক্রান্ত মানুষদের।
নোবেল করোনা ভাইরাস
একের পর এক রোগীর মৃত্যু ঘটছিল এই রোগের প্রকোপে পড়ে। চিকিৎসকরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাতারে কাতারে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছিল। কিছু সময় লাগলেও, চিকিৎসকরা বুঝতে পারলেন এই রোগ স্পর্শ এবং হাঁচি, কাশির মাধ্যেম ছড়িয়ে পড়ছে। এই মারাত্মক রোগের নাম নোবেল করোনা ভাইরাস। যার এখনও অবধি সঠিক কোন ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
ছড়িয়ে পড়ল গোটা বিশ্বে
ধীরে ধীরে গোটা বিশ্ব এই রোগের কবলে পড়ল। এক এক করে লকডাউন জারী করল বিভিন্ন দেশ। বন্ধ হল যানচলাচল, স্তব্ধ হল শহরের কোলাহল। চীনে প্রথম উৎপত্তি হলেও, চীন সরকার জিনপিং সম্পূর্ণ গোপন করে যান রোগটির ভয়াবহতা সম্পর্কে। কিন্তু যখন ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, তখন থেকেই চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে লাগল বিশ্বের অন্যান্য সব দেশ। বেগতিক দেখে মাঠে নামল WHO। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা পর্যালোচনার পর তারা এই ভাইরাসকে মহামারির সঙ্গে তুলনা করল।
ক্ষতিগ্রস্থ সুপার পাওয়ার
এক এক করে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল ইতালি, ফ্রান্স, ব্রাজিল এমনকি আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশও। বাদ পড়ল না ভারতও। মার্কিন সম্রাট প্রথম থেকেই তাঁর দেশের দুরবস্থার জন্য দায়ী করে এসেছে ড্রাগনের সম্রাট জিনপিংকে। রাতারাতি নিজের উপর থেকে করোনা ভাইরাসের দোষারোপ ঝেরে ফেলতে ভারতের সঙ্গে সীমা বিবাদে জড়িয়ে পড়ল চীন। কিন্তু এর উল্টো ফল ভুগতে হল চীন সরকারকে।
ভারত-চীন সংঘর্ষ
বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সীমানা বিবাদের জেরে চীনকে কোণঠাসা করেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশই। গোটা বিশ্ব এখন চাইছে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ ঘটাতে। এমনকি প্রতিবেশি দেশগুলোও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে চীনের থেকে। এবার আমেরিকা নোটিশ জারী করল চীনের বিরুদ্ধে। সময় দিল মাত্র ৬০ দিন। এই কটা দিন চীনের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজরদারী করবে মার্কিন সরকার। নজরদারী করবে সমস্ত চীনা সংস্থার উপর।
নোটিশ জারী করল মার্কিন সরকার
বেজিংয়ের সামরিক সেনার অধীনে থাকা ২০ টি চীনা সংস্থাকে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা তৈরি করেছে মার্কিন সরকার। এমনকি আমেরিকার প্রযুক্তি হরণ করার অভিযোগ করা হয়েছে চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিও কঠোর হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। ASEAN হুঁশিয়ারি দিয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে সংযত থাকতে। ১৯৮২ সালের জাতিসংঘের সামুদ্রিক আইন চুক্তি মান্য করতে হবে।