বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাইড্রস্কিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquine), ম্যালেরিয়ার এই ওষুধকেই আমেরিকার (America) সরকার করোনা ভাইরাসের সাময়িক প্রতিষেধক বলে দাবী করেছিল। সেই মতো বন্ধু দেশ ভারতের কাছ থেকে এই ওষুধের সাহায্যও চেয়েছিল। প্রথমদিকে ভাবনা চিন্তা করলেও, শেষটায় এই ওষুধের রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে মোদী জি সাহায্য করেছিলেন ট্রাম্পকে।
প্রয়োগ করা যাবে না হাইড্রস্কিক্লোরোকুইন
সেইমত চলছিলও ওষুধের প্রয়োগ এবং রোগীদের শুশ্রূষা। কিন্তু হঠাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানাল, এই ওষুধ প্রয়োগে করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়ার থেকে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে এই ওষুধের প্রয়োগ। কিন্তু ভারত এবং আমেরিকা এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জারী রেখেছিল। আবার সম্প্রতি WHO এই ওষুধের উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে, প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। কিন্তু WHO ছাড়পত্র দিলেও, মানতে চাইছে না এখন এক মার্কিন সংস্থা।
বাঁধ সাধল মার্কিন সংস্থা
হাইড্রস্কিক্লোরোকুইন ব্যবহারে বাঁধা দিল মার্কিন সরকারের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে তারা জানাচ্ছে, এই ওষুধ মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করতে অক্ষম। এমনকি সুস্থ ব্যক্তিকেও সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই দিতে পারছে না এই ওষুধ। উল্টে হৃদরোগের সমস্যা ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
ভারতে বহুল পরিমাণে উৎপাদিত এই ওষুধকে মার্চ মাসে FDA জানিয়েছিল, এই ওষুধ সঠিকভাবে করোনার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করছে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এই ওষুধের ব্যবহার ঠিক বলে মনে করে প্রয়োগ জারী রাখে।