বাংলা হান্ট ডেস্ক: NDA-র পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর জন্য দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণার পরেই তিনি কার্যত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। পাশাপাশি, তাঁর পারিবারিক জীবন এবং রাজনৈতিক কার্যাবলী সম্পর্কেও সকলে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রাম সম্পর্কে এমন একটি তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যা জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
তাঁর গ্রামে আজও বিদ্যুৎ নেই:
ইতিমধ্যেই, ওড়িশা সরকার এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছে যাতে এই গ্রামের মানুষকে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। এমতাবস্থায়, দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামবাসীদের প্রত্যাশাও অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের মেয়ে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসলে গ্রামের অবস্থা পুরোপুরি বদলে যাবে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। অর্থাৎ তাঁদের সুদিন আসবে।
পরিস্থিতি ঠিক কি?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দ্রৌপদী মুর্মু ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় ৩,৫০০ জনসংখ্যার এই এলাকায় মোট দু’টি গ্রাম রয়েছে। সেগুলি হল বড় শাহী ও ডুংরি শাহী। বড় শাহীতে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার কারণে সেখানে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ থাকে। অন্যদিকে, ডুংরি শাহী এখনও অন্ধকারে ঢেকে রয়েছে। যার ফলে কেরোসিন তেলের ওপর ভর করে রাতের অন্ধকার দূর করেন এখানকার মানুষ। শুধু তাই নয়, মোবাইল চার্জ দিতেও পাড়ি দিতে হয় ১ কিলোমিটার পথ।
সরকার কাজ শুরু করেছে:
এমতাবস্থায়, দ্রৌপদী মুর্মু যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন, তখন হঠাৎ করেই লাইমলাইটে আসে ডুংরি শাহীর নাম। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকরা এই গ্রামে পৌঁছে জানতে পারেন যে, এখানে কোনো বিদ্যুৎসংযোগ এখনও হয়নি। এরপর ওড়িশা সরকার এই গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু করে। রাজ্য সরকার এখন দ্রুত এই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন সহ এখানে ট্রান্সফরমার সরবরাহের কাজও শুরু করেছে।