বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে গ্রামবাসি। পরিবারের লোকজন মৃত দেহ সৎকার করতে গেলে বাঁধা দেয় গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে, তাঁদের লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করতে থাকে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বেশকিছু দিন ধরেই হাঁপানিতে ভুগছিলেন পঞ্জাবের (Panjab) এক প্রত্যন্ত গ্রাম অম্বালার এক বৃদ্ধা। শারীরিক অবস্থার অবন্নতির কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে, পরিবাররে লোকজন তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু ওই বৃদ্ধার চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। চিকিৎসকরা তাঁর রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তারপর ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পরিবারের লোকজন ওই মরদেহ নিয়ে করোনা আক্রান্তের মৃতদের দাহ করার স্থানে সৎকারের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ ওই স্থানে গ্রামবাসীরা এসে হাজির হয়। এবং মৃতদেহ সৎকারে বাঁধা দেয়। রক্তের নমুনার রিপোর্ট আসার আগেই গ্রামবাসীরা ধরে নেয়, ওই বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই তারা মৃতদেহের দাহ কাজে বাঁধা দেয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছালে, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে গ্রামবাসী। এমনকি চিকিৎসকদের উপর হামলাও চালায় তারা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ শূণ্যে গুলি চালায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের ডিএসপি রাম কুমার জানান, ‘গ্রামবাসীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁর কিছু বুহজতে চায় না। প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে, সে কথাও জানানো হয়। রোগ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেকথাও জানানো হয় তাঁদের। কিন্তু কিছুতেই গ্রামবাসীদের শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তারপর উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ’। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, পুলিসের ওপর হামলা চালানো সহ বেশ কিছু ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।