বাংলাহান্ট ডেস্ক : শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জামাই। শ্বশুরের অনুপস্থিতে একসাথে সময় কাটাতেন তারা। কিন্তু তারা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি তাদের এই গোপন প্রেম সবার সামনে উন্মোচিত হয়ে যাবে। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাদের দেখে নিল গ্রামবাসীরা। এরপর শাশুড়ি ও জামাইকে গাছে বেঁধে উত্তম মধ্যম দিল তারা। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গোসাই হাটের ডিপটারি গ্রামে।
ডিপটাড়ি গ্রামের এক বাসিন্দার সাথে ভোট পাড়া গ্রামের যুবক তাজিমুল হকের বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। বিয়ের কিছু মাসের মধ্যেই স্ত্রীর সাথে অশান্তি শুরু হয় তাজিবুলের। অন্যদিকে, তার সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে শাশুড়ির সাথে। এই নিয়ে দুই পরিবারের শুরু হয় অশান্তি। সালিশি সভা বসান গ্রামবাসীরা। নিষেধাজ্ঞা জারি হয় জামাইয়ের শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার উপরেও।
অভিযোগ এই নিষেধাজ্ঞা সত্বেও জামাই গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন শাশুড়ির সাথে। শ্বশুরের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার জামাই শ্বশুরবাড়ি যায়। রান্নাঘরে একান্তে সময় কাটাতে থাকেন শাশুড়ি ও জামাই। এমন সময় তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এরপর তাদের পাকড়াও করে স্থানীয়রা।
এরপর তাদের ধরে গ্রামবাসীরা গাছে বাঁধেন। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। শাশুড়ি ও জামাইকে উদ্ধার করে তারা নিয়ে যায় থানায়। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দুই পরিবার। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়নি। ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা জানিয়েছেন পরে শাশুড়ি ও জামাইকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।