স্ত্রীর মধ্যে থাকতে হবে এই ৩ টি গুণ, তাহলেই উন্নতি হবে স্বামীর! কি বলছে চাণক্য নীতি?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আচার্য চাণক্য (Acharya Chanakya) ছিলেন একজন মহান কৌশলবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, এবং অর্থনীতিবিদ। তিনি শুধু জীবনের সকল বিষয় গভীরভাবে অধ্যয়নই করেননি পাশাপাশি, মানুষের সুষ্ঠু জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও প্রদান করেছেন। এমনকি, বর্তমান সময়েও তাঁর কথাগুলি “চিরসত্য” হিসেবে পরিগণিত হয়। এছাড়াও, আচার্য চাণক্যের নীতি অবলম্বন করেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্রাট হন।

যদি কোনো ব্যক্তি তাঁর জীবনে আচার্য চাণক্য প্রদত্ত নীতিগুলি গ্রহণ করে চলেন তবে, তাঁর জীবনে তিনি চরম উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এমতাবস্থায়, আমরা সবাই একটি বাগধারা শুনেছি যে, প্রত্যেক সফল মানুষের পিছনেই একজন নারীর অবদান থাকে। অর্থাৎ, একজন নারী চাইলেই তাঁর স্বামীর জীবনে উন্নতি ঘটাতে পারেন।

পাশাপাশি, পুরো পরিবারের সুখও নির্ভর করে তাঁদের ওপর। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা চাণক্য নীতিতে উল্লেখ করা এমন কিছু নীতি উপস্থাপিত করতে চলেছি যেখানে মহিলাদের কিছু গুণের প্রসঙ্গ জানানো হয়েছে। যার ফলে তাঁদের স্বামীরও উন্নতি ঘটে। অর্থাৎ, স্ত্রী’র ওইসব গুণাগুণই কার্যত সৌভাগ্যবান করে তোলে স্বামীদের।

যে নারীর ইচ্ছা সীমিত: আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিকথায় বলেছেন, যে নারীর ইচ্ছার গণ্ডি সীমিত হয়, সেই নারীর স্বামী পরম সৌভাগ্যবান হন। চাণক্য নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক সময় স্বামী তাঁর স্ত্রী’র ইচ্ছাপূরণের জন্য অনৈতিক কাজ শুরু করেন। যার কারণে তাঁকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। তবে, একজন নারীর ইচ্ছা সীমিত হলে, অর্থাৎ, তিনি যদি অল্পতেই খুশি হন, সেক্ষেত্রে স্বামীর জীবনও সুখী হয়ে ওঠে।

শান্ত স্বভাবের মহিলা: আচার্য চাণক্যের মতে, যেসব মহিলা অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হন তাঁদের দেবী লক্ষ্মীর রূপ হিসেবে মনে করা হয়। একজন পুরুষ যদি তাঁর জীবনে শান্ত স্বভাবের অর্ধাঙ্গিনীর সমর্থন পান তবে তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান হিসেবে পরিগণিত হন। এই মহিলারা ঘরে সুখ-শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন। আর এর ফলেই পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।

মিতভাষী: আচার্য চাণক্যের মতে, একজন পুরুষের স্ত্রী যদি মিতভাষী হন, তাহলে পৃথিবীতে তাঁর চেয়ে ভাগ্যবান আর কেউ নেই। যে পুরুষ এই ধরণের গুণাবলী সম্পন্ন নারীদের বিয়ে করেন তিনি অবশ্যই সুখী জীবনযাপন করেন। পাশাপাশি, এই গুণের অধিকারী মহিলারা আত্মীয় বা প্রতিবেশী সকলের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখেন।

chanakya niti in business

শিক্ষিতা এবং গুণী: আচার্য চাণক্য বলেছেন, যে নারী শিক্ষিতা, সংস্কৃতিমনা এবং গুণবতী হন, তাঁর পুরো পরিবারই সুখে  জীবনযাপন করে। এই ধরণের মহিলারা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও প্রতিটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর