একযুগ পরে ফের চালু হচ্ছে রাজ্যের এই রেলপথের কাজ! উপকৃত হবেন হাজার হাজার মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল কাজ। তবে এবার শুরু হতে চলেছে নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ (বাজকুল) রেলপথের নতুন লাইনের কাজটি। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের তরফে নোটিশ দিয়ে এই ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে (South Eastern Rail) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ রেল প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল ইউপিএ সরকার।

পাশাপাশি, তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করার পর শুরু হয়েছিল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ, স্টেশন নির্মাণ ও রেললাইন বসানোর কাজও। তবে, এরই মাঝে ইউপিএ আমলে রেল মন্ত্রক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরে যেতেই প্রকল্পটির গতি রীতিমতো মন্থর হয়ে যায়। শুধু তাই নয় রেলের বাজেটেও বহুবছর যাবৎ এই প্রকল্প স্থান না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

   

এমতাবস্থায়, এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিও দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে চাষের অযোগ্য হয়ে যায়। এরই মধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রতে বদল হয়ে যায় সরকারের। তবে, এবার প্রায় এক যুগ যাবৎ দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত রেল প্রকল্পের কাজ থমকে থাকলেও নতুন করে সেই কাজ শুরু করার প্রতি উদ্যোগী হয়েছে রেল।

উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই এই রেলপথের নির্ধারিত কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার আশায় রয়েছেন স্থানীয়রাও। অনেকেই এই প্রকল্পের জন্য জমিও দিয়েছিলেন সরকারকে। এমতাবস্থায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পরে কলকাতা সহ হাওড়া এবং সমগ্ৰ রাজ্যের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে ওই অঞ্চলের। যার ফলে উপকৃত হবেন পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ।

img201505041648431914753

এদিকে, রেলের ওই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “রমজান মাস তথা পয়লা বৈশাখে এটা অত্যন্ত খুশির খবর। আমি বাংলার সাংসদ হিসেবে রেল বোর্ডকে এই কারণে ধন্যবাদ জানিয়েছি। এই লাইন চালু হলে অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার মান আরও বাড়বে। কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগও আরও উন্নত হবে। রেলমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।” এছাড়াও, তিনি আরও বলেন “আমি রাজ্যের কাছেও আবেদন করব, তারাও যেন এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য সর্বোতভাবে সাহায্য করে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর