বাংলা হান্ট ডেস্ক: কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে পরবর্তী জীবন কেমন কাটবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে অধিকাংশজনেরই। পাশাপাশি, বার্ধক্যের সময়ে পর্যাপ্ত পুঁজি জমা থাকবে কিনা এ নিয়েও চিন্তিন হয়ে পড়েন অনেকে! তবে, এবার সেই চিন্তারই অবসান ঘটতে চলেছে।
কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরের জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা উচিত। বার্ধক্যের পাশাপাশি হঠাৎ করে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি থাকা অবশ্যই জরুরি। যে কারণে, চাকরির শুরু থেকেই অর্থ সঞ্চয় শুরু করা উচিত। সোজা কথায়, আপনি যত তাড়াতাড়ি সঞ্চয় করা শুরু করবেন, অবসর নেওয়া পর্যন্ত আপনি তত বেশি অর্থ ফেরত পাবেন।
EPF, NPS, স্টক মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড, রিয়েল এস্টেটের মতো জায়গাগুলিতে বিনিয়োগের বহু বিকল্প রয়েছে। এই সমস্ত বিকল্পগুলির মধ্যে NPS হল এমন একটি মাধ্যম যেটি বেশ সুরক্ষিত এবং ভালো রিটার্নও দেয়। আপনি খুব সহজেই NPS-এর মাধ্যমে আপনার জন্য প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকার পেনশনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
মনে করুন, বর্তমানে আপনার বয়স ৩০। এখন থেকেই আপনি যদি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে NPS-এ বিনিয়োগ করেন তাহলে ৩০ বছর পর ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সময় আপনার সঞ্চয় এক কোটি টাকার বেশি টাকা থাকবে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৫২ হাজার টাকা রিটার্ন পাবেন। যেটা পেনশন হিসেবেও কাজে লাগবে। পাশাপাশি, বার্ধক্যের সময়েও আপনি থাকবেন একদম টেনশন ফ্রি!
এভাবেই কোটিপতি হয়ে অবসর নেওয়ার সুযোগ থাকছে আপনার কাছে! পাশাপাশি NPS-এর মাধ্যমে প্রায় ৯ থেকে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন-এর ব্যবস্থাও থাকছে। এমনকি, NPS-এর সাহায্যে আপনি বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন।
তবে, NPS রিটার্ন অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। পাশাপাশি, এই সমস্ত গণনা পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি যদি আপনার মাসিক পেনশন বাড়াতে বা কমাতে চান, তাহলে আপনাকে সেই অনুযায়ী NPS-এ বিনিয়োগ বাড়াতে বা কমাতে হবে। NPS থেকে মোট অর্থের পরিমাণ এবং পেনশন আপনার বয়স এবং ইক্যুইটি বাজারের কর্মক্ষমতার মতো বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যে কেউই NPS-এ বিনিয়োগ করতে পারেন।
NPS দুই ধরনের আছে। NPS টায়ার ১ এবং NPS টায়ার ২। টায়ার ১-এ ন্যূনতম বিনিয়োগ ৫০০ টাকা এবং টায়ার ২-তে ন্যূনতম বিনিয়োগ করতে হবে ১০০০ টাকা। তবে এতে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই। পাশাপাশি, NPS-এ তিনটি বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে। যেখানে বিনিয়োগকারীকে তার অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে তা বেছে নিতে হবে। সেগুলি হল ইক্যুইটি, কর্পোরেট ঋণ এবং সরকারি বন্ড। তবে মনে রাখবেন যে, যে কোন বিনিয়োগই আপনার বিনিয়োগ উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করার পরেই করা উচিত।