বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ সরকার যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) তৈরি আগ্রা মডেল (Agra Model) এখন করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য সর্বজন গ্রাহ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের সযুক্ত সচিব লব আগরওয়াল থেকে শুরু করে WHO প্রধান- সকলেই যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণের মধ্যেও আগ্রাতে নেওয়া প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে রোল মডেল হিসাবে বলছেন সকলেই। আগ্রায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮ হলেও, সংক্রমণের প্রভাব খুব একটা বিস্তার লাভ করতে পারেনি সেখানে।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছিল। আর তারপর থেকেই উত্তরপ্রদেশ সরকার পুলিশের দ্বারা সুরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে শুরু করে। যার ফলে এই মারণ ভাইরাস সেখনে ব্যাপকহারে ছড়াতে পারেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো সেখানে বেশি সংক্রমণের ভিত্তিতে হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করা হয়। এর পাশাপাশি র্যাপিড রেসপন্স টিম, বাক্লে স্যাম্পেলিং, কল সেন্টার স্থাপন ছাড়াও সমস্ত এলাকা স্যানেটাইজ করা হয়।
এই সমস্ত পরিষেবা গ্রহণ ছাড়াও পুরো অঞ্চলকে তিনটিভাগে ভাগ করা করা হয়।
প্রথম হল, বাফার জোন- এই জোন প্রতি ৫ কিমি পর্যন্ত অঞ্চলকে বাফার জোন হিসাবে চিহ্নিত করে, সেখানে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় হল, কন্টেনমেন্ট জোন- বাফার জোনের মধ্যেই ৩ কিমি অঞ্চলকে AP সেন্টার বা কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
তৃতীয় হল, হটস্পট- কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে, তার আশেপাশের এবং মানুষজন, রাস্তা এবং আত্মীয়দের এলাকা হটস্পট বলে সিল করে দেওয়া হয়।
আগ্রা প্রশাসন এই করোনা ভাইরাসের বিষয়কে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে কেন্দ্র, WHO এবং রাজ্যস্তরের সঙ্গে মিলিভাবে কাজ করেছে। যার ফলে সবস্তরের সাহায্য তারা পেয়েছেন। সেই কারণে উত্তরপ্রদেশে এখনও কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সংকটজনক অবস্থায় নেই। আগ্রার প্রশাসনের কর্মকান্ড দেখে WHO -ও তাঁদের প্রশংসা করে। WHO-র মতে কোন সংক্রমণ রোধের একটাই প্রতিকার, তা হল রোগের উৎস খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করা। আক্রান্ত ব্যক্তি কোথায় কোথায় গেছে, কার কার সঙ্গে দেখা করেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। তবেই এই মহামারির রোগ প্রতিকার করা সম্ভব হবে।