বাংলাহান্ট ডেস্ক : থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। কিন্তু অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে তার কপালে জুটলো পুলিশের মারধর। পুলিশের বেধড়ক মারে যুবককে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানায়। যুবকটি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন থানার সাব ইন্সপেক্টর শংকর রায়ের দিকে। যুবকের অভিযোগ, পুলিশের মারে তার গায়ে লাঠির দাগ বসে যায়। গুরুতর আঘাত পান তিনি। জানা গিয়েছে যুবকের নাম মহম্মদ রহমান।
পেশায় লেপ-কম্বল, শীত বস্ত্র তৈরির কারিগর মহম্মদ রহমান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ধামনাগছ এলাকার বাসিন্দা। তিনি শীতকাল আসলে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে অর্ডার মত লেপ-কম্বল বানিয়ে দেন। নিয়ম মত মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি গত বুধবারও সকালে বেরিয়েছিলেন কাজে। সেই সময় তাকে পাকড়াও করে তারই এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ রকিবুল।
রকিবুল রহমানকে বলেন যে, রহমান তার বাড়িতে গত বছর লেপ-তোষকের কাজ করেছিলেন। কিন্তু একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেগুলি। এরপর রকিবুল দাবি করে এখন তাকে বিনা খরচে নতুন করে লেপ- তোষক বানিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, এরপর রকিবুল রহমানের মোটরবাইক, সামগ্রী ও টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। তাকে মারধরও করে। এমনকি ছুরি নিয়ে তাকে খুনেরও হুমকি দেয়। এরপর রহমান কোনমতে সেখান থেকে চলে যান ফাঁসি দেওয়া থানায়। এরপর শুরু হয় নতুন বিপত্তি।
রহমানের দাবি, “থানায় লিখিত অভিযোগ করি সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ। এরপর ঘটনাস্থলে আমার সাথে যায় সাব-ইন্সপেক্টর শংকর রায় সহ আরও কয়েকজন। ওখানে গিয়ে পুলিশ আলাদা করে কথা বলে রকিবুলের সাথে। এরপর পুলিশ থানায় নিয়ে আসে আমাকে ও রকিবুলকে। এরপর অত্যাচার শুরু হয়। কোন কারণ ছাড়াই বেধড়ক ভাবে মারা হয় আমাকে। এরপর থানার সামনে আসে আমার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা। এরপর আমায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।”
রহমান আরও বলেন, “পুলিশ থানার সামনে অত লোক দেখে আমাকে সাদা কাগজে দুই জায়গায় সই করিয়ে নেয়। বাইরে যাতে আমি কিছু না বলি সেই জন্য আমায় হুমকিও দেয়। কিছু মদের বোতল ও গাঁজার সাথে পুলিশ আমার ছবি তোলে। এরপর পরিবারের লোকেদের সাহায্যে হাসপাতালে চলে আসি।”