বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্রমবর্ধমান পেট্রোল-ডিজেলের দামের (Petrol-Diesel Price) আবহে জর্জরিত সকলেই। এদিকে এই খরচ থেকে রেহাই পেতে এখন বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Electric Vehicles) প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন অধিকাংশজন। এছাড়াও, এইসব যানবাহন ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণও অনেকটাই কম হয়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক যুবকের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি “দেশি জুগাড়”-এর মাধ্যমে তাঁর পুরোনো বাইকটিকেই বৈদ্যুতিক বাইকে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন।
মূলত, বিহারের (Bihar) বেগুসরাইয়ের যুবক পীযূষ রঞ্জন বাড়িতে পড়ে থাকা ১৫ বছরের পুরোনো একটি বাইককেই এবার বৈদ্যুতিক বাইকে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন। পাশাপাশি, ওই বাইকের ফলাফলে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি একটি ইলেকট্রিক সাইকেলও তৈরি করেন। পীযূষের বাবাও তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছেন।
এই প্রসঙ্গে পীযূষ জানিয়েছেন, বাইকের পূর্বের সব যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হয়। শুধুমাত্র সেটির ফ্রেম এবং টায়ারকে ব্যবহার করা হয়েছে। আর তারপরেই সম্পূর্ণ “দেশি জুগাড়”-এর ওপর ভর করে এই বৈদ্যুতিক বাইক তৈরি করে ফেলা হয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বাইকটি একবার চার্জে ৯৫ কিমি পর্যন্ত চলতে পারে। যেটিতে খরচের পরিমান হল মাত্র ৫ টাকা। শুধু তাই নয়, যদি প্রতি কিলোমিটারের খরচ ধরা হয়, সেক্ষেত্রে তা হল মাত্র ১৯ পয়সা। অর্থাৎ, যেকোনো পেট্রোল বাইকের সাথে তুলনা করলে এই খরচ অনেকটাই কম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বেগুসরাই জেলার রামদিরি গ্রামের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার সিংয়ের ছেলে পীযূষ রঞ্জন কমার্সের ছাত্র। যদিও বর্তমানে বারাউনির একটি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায়, তাঁর বাড়ি থেকে ওই হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিমি। তিনি তাঁর বৈদ্যুতিক বাইক চালিয়েই ওই দূরত্ব অতিক্রম করেন।
এদিকে, পীযূষ তাঁর বাবার জন্য একটি ইলেকট্রিক সাইকেলও বানিয়েছেন। যেটি একবার চার্জে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। পীযূষ জানিয়েছেন, এটি তৈরি করতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাটারির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য লিথিয়াম ব্যাটারিও বসানো হয়েছে। এই ব্যাটারিটি ১২V চার্জার দিয়ে ২ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়। সাইকেলটির গতি হল ৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা।