হার মানবে সিনেমাও! ১২ লক্ষের লোন মেটাতে কিডনি বিক্রি করলেন যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনকারী গ্যাংয়ের সাথে ভারতে আসা কিডনি দাতা শামীম মেহেন্দি হাসান ঋণের ভারে এতটাই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন যে, অর্থ শোধ করার আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমতাবস্থায়, ২৪ বছর বয়সী শামীম মেহেন্দি ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁর একটি কিডনি বিক্রির চুক্তি করেন। তবে, কিডনি প্রতিস্থাপনের পর গুরুগ্রামে এসে গ্যাংয়ের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা শামীম ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে।

২০১৮ সালে লোন নিয়ে মোবাইলের দোকান শুরু করেন: সিভিল হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি শামীম মেহেন্দি জানান, আর্থিক অনটনের কারণে তিনি ২০১৮ সালে ঋণ নিয়ে মোবাইলের দোকান শুরু করেন। শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ধীরে ধীরে ঋণ বেড়ে যায় এবং তিনি ১২ লক্ষ টাকার দেনায় ডুবে যান।

The young man sold his kidney to settle the loan of 12 lakhs.

এমতাবস্থায়, তিনি ব্যাঙ্ক লোনের কিস্তি ও মহাজনের দাবিতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, সিনেমায় অনেকবার দেখা গেছে কিডনি বিক্রি করে টাকা রোজগার হয় এবং একটি কিডনি দান করে দিলেও বেঁচে থাকা সম্ভব। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনি এহেন সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, “আমি আমার কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং কীভাবে এটি বিক্রি করা যায় তা নিয়ে সন্ধান শুরু করি।” এরপর একদিন ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের সংস্পর্শে আসেন তিনি। এজেন্ট ২ লক্ষ টাকায় চুক্তি চূড়ান্ত করলেও পরে চুক্তিটি ৪ লক্ষ টাকায় চূড়ান্ত হয়।

আরও পড়ুন: এবার শেষ হবে চিনের ঔদ্ধত্য! ড্রাগনকে হারাতে দুর্ধর্ষ পরিকল্পনা ভারতের

কিডনি বিক্রি করেও ৩ লক্ষ টাকা ঋণ থেকে গেছে: শামীম জানান, ঋণ পরিশোধের জন্য প্রথমে দোকানের সব জিনিসপত্র তিনি বিক্রি করে দেন। এরপরও ঋণ থেকে গেলে তাঁকে কিডনি বিক্রি করে দিতে হয়। যদিও, এখনও ৩ লক্ষ টাকার ঋণ বাকি আছে। তবে, এখন পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: কোহলি নন, টিম ইন্ডিয়ায় বেশি গালিগালাজ করেন এই ক্রিকেটার! ফাঁস করলেন শ্রেয়স আইয়ার

বৃহস্পতিবার ৩ জনকে ICU-তে ভর্তি করা হয়েছে: কিডনি দাতা শামীম মেহেন্দি হাসান এবং কিডনি গ্রহীতা ইসলাম নুরুল এবং কবির মোহাম্মদ (৬৬) ৩৯ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত গেস্ট হাউসে অবৈধ কিডনি প্রতিস্থাপনকারী চক্রের ফাঁদে পড়েন। বৃহস্পতিবার তাঁদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ জন রোগীকেই ICU-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবারও ওইরোগীর রক্ত ​​ও প্রস্রাব পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসক কমিটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ জন রোগীর ওপরই কড়া নজরদারি রেখেছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর