বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাঞ্জাবের (Punjab) চন্ডীগড়ের লুধিয়ানার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ত্রিশনিট আরোরা মাত্র 24 বছর বয়সেই হয়েছেন এক নামকরা কোম্পানির সিইও। অষ্টম শ্রেণিতে ফেল করার পর তিনি পড়াশুনা ছেড়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে এথিকাল হ্যাকিংয়ে (Ethical Hacking) ফোর্বসের 30 জনের তালিকায় নিজের নাম তুলতে সক্ষম হয়েছেন এই যুবক।
ইচ্ছে থাকলে, সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করা যায়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন এই যুবক। মাত্র 21 বছর বয়সে নিজের কোম্পানি তৈরি করেন ত্রিশনিট। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার থেকে কম্পিউটারে (computer) দিকে বেশি ঝোঁক ছিল তাঁর। সারাদিন তিনি হ্যাকিঙের কাজ শিখতেন কম্পিউটারে। এইভাবে পড়াশুনায় অবহেলা করে অষ্টম শ্রেণিতে প্রথমবার ধাক্কা খায় সে। ভালোভাবে পড়াশুনা না করার দরুন পরীক্ষায় ফেল করে ত্রিশনিট। এরপর বাবা মাকে বলে পড়াশুনা ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি গ্রহণ করে সে। তবে পরবর্তীতে দ্বাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা দেয় ত্রিশনিট।
ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি ভালোবাসা থেকে হ্যাকিঙে পারদর্শি হয় সে। পড়াশুনা ছাড়ার পর সে ব্যবসা করতে চাইলে, তাঁর বাবা তাঁকে 75 হাজার টাকা দেয়। এই টাকা দিয়েই তিনি প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর টিএসি সিকিউরিটি নামের সাইবার সিকিউরিটির কোম্পানি কোটি কোটি টাকা আয় করে ফেলছে। ত্রিশনিট জানিয়েছেন, তাঁর শখকে ব্যবসা বানিয়ে আজ সে এই জায়গায় পৌঁছেছে।
মাত্র 24 বছর বয়সে তিনি কাজের মাধ্যমে কোনরকম কম্পিউটারের পড়াশুনা ছাড়াই, নিজের ক্ষমতার বলে এথিকাল হ্যাকিংয়ে ফোর্বসের 30 জনের তালিকায় নিজের নাম তুলতে পেরেছেন।