পালঘরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোন মুসলিম নেইঃ মহারাষ্ট্র সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরের (Palghar) ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রং লাগাতে চেয়েছিল বেশ কিছু মানুষজন। কিন্তু এই নৃশংস হত্যালীলায় আসামীরা কেউই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। ফেসবুকে তিনি জানিয়ে দিলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া ১০১ জনের মধ্যে কেউই মুসলিম ছিল না। এখন করোনা আতঙ্কের মাঝে সকলকে এক হয়ে লড়তে হবে”।

jjb6s9cjaapjrbkw 1586342534

গত ১৬ ই এপ্রিল রাতে গুরুদেবের শেষকৃত্যে যোগ দেবার জন্য গাড়ি করে রওনা দিয়েছিল ৩ ব্যক্তি। রাতের অন্ধকারে গ্রামবাসি তাঁদের বাচ্চা চোর সন্দেহে আটক করে, মারধর করতে শুরু করে। উত্তেজিত গ্রামবাসির হাতে মার খেয়ে প্রাণ হারায় ওই তিন জন। এই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে চারিদিকে। মৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন ছিলেন সাধু, ৭০ বছর বয়সী মহারাজ কল্পবিকশগিরি এবং ৩৫ বছর বয়সী সুশীলগিরি মহারাজ। তাঁদের গাড়ির চালক হলেন ৩০ বছর বয়সী নিলেশ তেলগাদে।

এই ঘটনার জেরে লকডাউনের মধ্যেও মহারাষ্ট্রে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই হত্যা কাণ্ডের সাথে যুক্ত ১১০ জন গ্রামবাসিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে থাকা ৯ জন নাবালককে কিশোর সেল্টার হোমে রাখা হয়েছে এবং ১০১ জনকে গ্রামবাসিকে আগামী ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ব্যক্তি এই দুর্ঘটনার মধ্যে রাজনীতির রং লাগাতে চেয়েছিলেন। শোনা গেছিল গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের ছিলেন।

aaaaaaaaaaaaa

এই মিথ্যে অভিযোগের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে মহারাষ্ট্রের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ফেসবুক মাধ্যমে জানালেন, ‘আমরা আজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত আসামির নাম প্রকাশ করব। গ্রেপ্তার হওয়া ১০১ জনের মধ্যে কেউই মুসলিম নন। এখন রাজনীতি নিয়ে দাঙ্গা করার সময় নয়। এখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়বার সময়’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর