ভারতের এমন দু’টি রেল স্টেশন, যেখান থেকে পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যাবেন বিদেশে, একটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে এমন অনেক রেল স্টেশন (Rail Station) রয়েছে, যেগুলি তাদের বিভিন্ন বিশেষত্বের মাধ্যমে রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকেই। সেই রেশ বজায় রেখেই বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা দেশের এমন দু’টি স্টেশনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেখান থেকে আপনি পায়ে হেঁটেই সরাসরি বিদেশে পৌঁছে যেতে পারবেন। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। চলুন, জেনে নিই এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য।

বিহারে রয়েছে একটি স্টেশন: প্রথমেই আমরা যে স্টেশনটি সম্পর্কে জনাবো সেই স্টেশনটি বিহারের আরারিয়া জেলায় অবস্থিত। অপরদিকে, অন্য রেল স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। মূলত, আরারিয়া জেলায় অবস্থিত এই রেল স্টেশনের নাম হল জোগবনি স্টেশন। এখান থেকে নেপালের দূরত্ব এতটাই কম যে আপনি পায়ে হেঁটেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নেপালে যেতে হলে ভারতীয়দের ভিসা বা পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়না। অর্থাৎ, আপনি এই স্টেশন থেকে ট্রেন কিংবা ফ্লাইট ছাড়াই পৌঁছে যেতে পারবেন সরাসরি বিদেশে!

57060489

পশ্চিমবঙ্গেও এমন একটি স্টেশন রয়েছে: এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ তথা আমাদের রাজ্যেও এমন একটি রেল স্টেশন রয়েছে। যেটি দেশের শেষ রেল স্টেশন হিসেবেও বিবেচিত হয়। মূলত, পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হাবিবপুর এলাকায় থাকা সিঙ্গাবাদ স্টেশনটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত। উল্লেখ্য যে, এই স্টেশনটি বাংলাদেশের সীমান্তের খুব কাছে রয়েছে। অর্থাৎ, এই স্টেশন থেকে বাংলাদেশে পৌঁছনো যেতে পারে।

এই স্টেশনটি ব্রিটিশ শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল: জানিয়ে রাখি যে, ব্রিটিশ শাসনকালে নির্মিত সিঙ্গাবাদ স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে জনশূন্য অবস্থায় ছিল। স্বাধীনতার পর দেশ ভাগ হলে এই স্টেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে এই স্টেশনটি দীর্ঘকাল নির্জন ও জনশূন্য ছিল।

download (74)

বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার: শুধু তাই নয়, এই স্টেশনে সিগন্যাল এবং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত উপকরণ ও যন্ত্রপাতিও দীর্ঘদিন যাবৎ বদলানো হয়নি। পাশাপাশি এখানে সিগন্যালের জন্য হ্যান্ড গিয়ার ব্যবহার করা হয়। এদিকে, এখানকার টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রেন এখানে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর