বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali ) এবং তার আশেপাশের তিনটি ঘাট পার হওয়ার জন্য জনপ্রতি ৩ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। যদিও যে টিকিটের বদলে যাত্রীরা এই ভাড়া দেয় সেই টিকিটের কোথাও ভাড়ার অঙ্ক লেখা থাকেনা। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়মই চলে আসছে সন্দেশখালির ফেরি ঘাটে। আর এর পেছনেও রয়েছে চরম দুর্নীতি। এই দুর্নীতির নেপথ্য মাথাও নাকি শাহজাহান।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, প্রতি তিন বছর অন্তর টেন্ডার ডাকে জেলা পরিষদ। যে টেন্ডার পায় তার হাতেই যায় ফেরিঘাটের দায়িত্ব। তবে মজার বিষয় হল, টেন্ডার অনুযায়ী ভাড়া হল জন প্রতি ১ টাকা। তবে যাত্রীরা ভাড়া দেয় ৩ টাকা করে। অর্থাৎ ১ টাকার টিকিটে ৩ টাকা ভাড়া গুনতে হয় সকলকে। এবং এই বাড়তি ২ টাকার ভাগ চলে যায় শাহজাহান অ্যান্ড কোম্পানিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফেরি ঘাটে হওয়া এই দুর্নীতির টাকার ভাগ পেত শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারও। কারণ চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে টিকিট দেওয়া হত তাতে লেখা থাকত ‘হাজরা এগ্রো ইন্ডিয়া’। টিকিটে লেখা এই ‘হাজরা’ মূলত শিবু হাজরাকেই মনে করছে এলাকার মানুষজন। যদিও বর্তমানে যে টিকিট দেওয়া হয় তাতে লেখা থাকে ‘সন্দেশখালি ফেরিঘাট’।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে পাঞ্জাব সফরে মমতা, আপের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা, কাটবে জোটের জট?
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধামাখালি ঘাটের কর্মীরা। টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা এই কর্মীরা জানিয়েছে, জ্বালানির দাম ও নৌকার কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির কারণেই অতিরিক্ত ২ টাকা করে নেওয়া হতে। যদিও ফেরিঘাটের কর্মীদের এই দাবিকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় তদন্তকারীরা। কারণ দুর্নীতির গন্ধ পাওয়ার আরও একাধিক কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার ৫ বছর, অভিযুক্ত ১৯ জনের ১৫ জনেই নিকেশ, বাকি ৪ জন কোথায়?
আসলে ধামাখালি বা সন্দেশখালির ঘাটে ভেসেল চালানোর নির্দেশ দেওয়া আছে। তবে সেখানে ভেসেল না চালিয়ে মোটর চালিত কাঠের নৌকা চালানো হয়। উল্লেখ্য, ভেসেলের খরচের তুলনায় মোটর চালিত নৌকার খরচ অনেকটাই কম। তবে ভেসেল তুলনামূলক অনেকটাই নিরাপদ। এলাকাবাসী বেশি টাকা দিয়ে ভেসেল চালানোর কথা বললেও টেন্ডারের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা তাতে রাজি নয়। সরকার থেকে দুটি ভেসেল দেওয়াও হয়েছিল। তবে সেগুলি জলে না নামিয়ে ডাঙায় তুলে রাখা হয়েছে।