বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমশ সামনে এসে চলেছে। কোথাও ভুয়ো বিল, তো কোথাও আবার নিয়োগে বেনিয়ম; একের পর এক গুরুতর অভিযোগে বর্তমানে সরগরম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এবার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের (National Medical College) পাশাপাশি এহেন অভিযোগ উঠে এলো আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) বুক থেকেও।
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্র মারফত কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিল কারচুপির তথ্য সামনে উঠে আসে। একজন রোগী ডিসচার্জ হওয়ার পরেও তার নামে বিল করে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা কারচুপি করা হয়ে চলেছে, সেই অভিযোগ উঠে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
যদিও এই অভিযোগ সামনে আসতেই মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই বেসরকারি সংস্থার দিকেই অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছে। তবে এবার খোদ আরজি কর হাসপাতাল থেকেও এহেন অভিযোগ সামনে উঠে আসতেই শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। সূত্র মারফতে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালের অডিও ভেস্টিবুলার ক্লিনিকের কর্মপদ্ধতি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। এক্ষেত্রে বধিরতা যাচাই টেস্টে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা মাঝেই কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে সদ্যোজাত কোনো শিশুর বধিরতা যাচাই করার জন্য OAE এবং BERA টেস্ট করা হয়ে থাকে। আর বর্তমানে এই দুটো টেস্ট ঘিরেই একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে বছরে কোটি কোটি টাকার টেস্টের বিল জমা দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে কতগুলি পরীক্ষা হয়েছে কিংবা সেই পরীক্ষা বাবদ সকল খরচ আদৌ হয়েছে কিনা, সেই প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন উঠে পড়েছে।
যদিও এক্ষেত্রে অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছেন চিকিৎসা থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা। চিকিৎসা অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, “প্রধানত লবি বাজি হয়ে চলেছে। কোটি কোটি টাকা কমিশন পাওয়ার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এক্ষেত্রে কোনরকম দুর্নীতি হয়নি, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। একটি সফটওয়্যার রয়েছে, যার মাধ্যমে খোঁজ নিলেই সম্পূর্ণ তথ্য সামনে উঠে আসবে।”
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…