বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ…’, একমাসের পবিত্র রমজান মাস শেষে আকাশে-বাতাসে খুশির হাওয়া বয়ে নিয়ে আসতে চলেছে ঈদ। ভারতসহ গোটা বিশ্বের ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষেরা আগামী ৩১ মার্চ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) মেতে উঠবেন ঈদের খুশিতে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) উধাও ঈদের উচ্ছ্বাস
এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারি কর্মীদের জন্য ৯ দিনের ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষ্যে একটানা ৯ দিন ছুটি পেতে চলেছেন সেদেশের সরকারি কর্মচারীরা। তবে এই খুশির মরশুমেও ঈদের আনন্দ যেন অনেকটাই ম্লান বদলের বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন : ‘এই লোকটা সেদিন তথ্য লোপাটের জন্য…’ পানিহাটির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তিলোত্তমার মা-বাবার
সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী থেকে শুরু করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের মনে ঈদের আনন্দ যেন ‘সোনার চামচ-বাটি।’ বদলের বাংলাদেশে গত কয়েকমাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে (Price Hike) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। সেদেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আম জনতার।
আরও পড়ুন : “পিরিয়ড হলে ঠাকুরঘরে যাওয়া বারণ”, কারণ ব্যাখ্যা করে নিন্দুকদের একহাত নিলেন মিমি
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের (Bangladesh) পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। চিনির দাম ছুঁয়েছে কেজি প্রতি ১২০ টাকা। পদ্মাপারের পাইকারি বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজি। বর্তমানে এক কেজি বেগুন কিনতে হলে বাংলাদেশিদের খরচ করতে হচ্ছে ৯০ টাকা।
অন্যদিকে, প্রতি কেজিতে টমেটোর দাম ছুঁয়েছে ৩০ টাকা। সব্জির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মুরগির দামও। স্থানীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রমজান মাসে ব্যাপক চাহিদার কারণে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মুরগির দাম। এমতাবস্থায়, শহরের একাধিক এলাকায় নিজস্ব স্টল খুলে ন্যায্যমূল্যে মুরগি বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সাথে ক্রমশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্যে। ইউনূস সরকারের ভারতের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে খাদ্য সঙ্কট। ভারত থেকে খাদ্যদ্রব্যের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম।