ঈদে লকডাউন পরিকল্পনা নিয়ে ইমামরা দিল মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের প্রথম থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee), বিরোধীদলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে ছিল। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন। মুসলিম সম্প্রদায়ের বড়ো উৎসব ইদ (Eid al-Fitr)। আগামী ২৫ শে মে আকাশে দেখা যেতে পারে পবিত্র ইদের চাঁদ। কিন্তু এরই মধ্যে বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন এই লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল না করে আগামী ৩০ শে মে পর্যন্ত জারী রাখার আবেদন জানায়।

image 76

২৫ শে মে আকাশে উঠতে পারে ইদের চাঁদ
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ ভুলতে বসেছে সমস্ত আনন্দ অনুষ্ঠান। আগামী ২৫ শে মে মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসবের দিন। এই ইদ উপলক্ষে প্রতি বছর এই সময়ে নিউ মার্কেট সহ সমস্ত দোকান বাজার মানুষের ভীড়ে উপছে পড়ে। ব্যবসায়ীরাও এই সময় বেশ মোটা অঙ্কের মুনফা লাভ করে নিতে পারে। কিন্তু মহামারির ভয়ে আজ সবকিছুই স্তব্ধ। মানুষ রয়েছে গৃহবন্দি।

মানুষ আগে বাঁচুক, উৎসব তো পরেও করা যাবে
সংকটের এই দুর্দিনে ইমামদের সংগঠন বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে এক পত্র পাঠানো হয়। এই পত্রে ইমামিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ‘আমাদের ইদের কারণে লকডাউন শিথিল করার কোন প্রয়োজন নেই। মানুষ আগে বাঁচুক, উৎসব তো পরেও করা যাবে। আমরা সকলে মিলে এতো স্যাক্রিফাইস করছি, মানুষের জীবনের জন্য তা আরও করতে রাজী। অন্য দোকান কেন খোলা হল, তা নিয়েও কখনই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব দিহি চাইব না’।

lekha

লকডাউন না তোলার আর্জি জানানো হোক কেন্দ্রের কাছে
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা লকডাউন আগামী ১৭ ই মে অবধি কার্যকর করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইমামিরা অনুরোধ করেছেন, ‘কেন্দ্র থেকে যদি ১৭ ই মের পর লকডাউন তুলেও নেওয়া হয়, রাজ্য থেকে যেন লকডাউন শিথিল করা না হয়। লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে যেন ৩০ শে মে অবধি করা হয়। প্রয়োজনে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই অর্জি তুলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা আপনার পাশে আছি’।

ধর্মের গোঁড়ামিকে তাঁরা প্রশ্রয় দিতে নারাজ ইমামিরা
দেশের করোনা (COVID-19) আতঙ্কের শুরুতে লকডাউনের প্রথম থেকেই এই বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের পক্ষে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মসজিদের বাইরে চিঠিপত্র টানিয়ে দিয়েছে। মানুষকে ঘর থেকে না বেরিয়ে বাড়িতে থেকেই নামাজ পড়া, রোজা রাখা, সবে বরাত এবং রমজান মাস ছাড়াও বিভিন্ন নিয়ম কাজ চালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি প্রদানের মাধ্যেম তারা বুঝিতে দিলেন কোন রকম ধর্মের গোঁড়ামিকে তাঁরা প্রশ্রয় দিতে নারাজ।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর