বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গণেশ পুজো (Ganesh Puja) অর্থাৎ গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে উৎসবের মরশুমের শুভ সূচনা হয়। প্রতিবছরের সাথে গণেশ চতুর্থীর সঙ্গে এই দুবছর কিছুটা হলেও অসামঞ্জস্য থাকলেও, উৎসবের আয়োজনে কিন্তু কোন ত্রুটি নেই। সবকিছু চলছে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই। শিঙার আওয়াজে, নাকাড়ার শব্দে ভগবান গণেশকে তাই স্বাগত জানানোর কাজ শুরু করেছে গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কলকাতাও (Kolkata)।
গণেশ পুজোর (গণেশ চতুর্থী ) তিথি
এবছর ৯ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা বেজে ২০ মিনিটে গণেশ চতুর্থীর শুভ সময়ের সূচনা হচ্ছে এবং শুভ সময় থাকছে ১০ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার ২২ শে আগস্ট রাত ৯ টা বেজে ৫৮ মিনিট অবধি। এই সময়ের মধ্যেই সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা সম্পন্ন করতে হবে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে ভাদ্র মাসের শুক্লাচতুর্থীর দিনে ভগবান গণেশ জন্মগ্রহণ করেন। তাই ওই দিনটিকে গণেশ চতুর্থী হিসাবে পালন করা হয়। তবে শাস্ত্র মতে এই দিন একটি বিশেষ কাজ না করাই ভালো। বলা হয়, এদিন যে ব্যক্তি চাঁদ দেখেন, তাঁর জীবনে দুর্যোগের ঘনঘটা নেমে আসে। তাই এদিন ভুল করেও চাঁদ দেখতে নেই।
কথিত আছে, গণেশ দেবতা যখন ত্রিলোক পরিক্রমা করেছিলেন, তারপর সকল দেবতা তাঁর উপাসনা করে তাঁর পুজো করেন। কিন্তু চন্দ্র দেব তখন নিজের সৌন্দর্য নিয়ে গর্ববোধ করে, গণেশ দেবের উপর হেসেছিলেন। তখন ভগবান গণেশ রুষ্ট হয়ে চন্দ্র দেবতাকে কালো হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দেন।
পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে, চন্দ্র দেব গণেশের কাছে ক্ষমা চাইলে, দেবতা গণেশ তাকে মুক্তি দিলেও একটি সময়ের চক্র তৈরি করে দেন। যে চক্র অনুসারে ১৫ দিন অন্তর অন্তর একবার করে পূর্ণ চন্দ্র দেখা যাবে এবং আবারও তাঁর ১৫ দিন পর সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে। সেই নিয়ম মেনেই আজও অমাবস্যা পূর্ণিমা ঘটতে দেখা যায়। পৌরাণিক মতে এরকম আরও নানান ব্যাখ্যা রয়েছে।