ফটোগ্রাফার জোগাড় করতে পারেনি বর, রেগেমেগে বিয়েই ভেঙে দিল কনে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে প্রতিদিন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা সামনে আসার পর কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা বিয়ে সংক্রান্ত একাধিক অদ্ভুত ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছি। বিয়ের আনন্দে বরের চোখে জল থেকে শুরু করে বিবাহের মঞ্চেই বর-কনের লড়াই সবকিছুই দেখে নিয়েছি আমরা। তবে, এবার যে ঘটনা ঘটেছে তা কার্যত এক কথায় নজিরবিহীন!

জানা গিয়েছে, বিয়ের সময়ে ফটোগ্রাফার নিযুক্ত করেননি বর, আর এই কারণেই তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন কনে! হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে। গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার একটি গ্রামে।

মূলত, বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয়পক্ষের তরফেই আয়োজন করা হয় পুরোদমে। এমনকি, বরযাত্রীদের মিছিল আসার পর বিবাহের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু, সেই মুহূর্তেই সেখানে উপস্থিত কনে বুঝতে পারেন যে, তাঁদের স্মরণীয় মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দী করার জন্য কোনো ফটোগ্রাফার নেই। এমতাবস্থায়, তিনি এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, একটা সময়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে যান।

এদিকে, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, সেই সময়ে সকলেই ওই কনেকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করলেও তিনি কিছুতেই বিয়েতে রাজি হননি। পাশাপাশি, তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “যে মানুষটা আজ আমাদের বিয়ের সময়েই যত্নশীল নয়, সে ভবিষ্যতে আমার যত্ন নেবে কী করে?” এমনকি, একটা সময়ে বিষয়টি থানাতেও পৌঁছে যায়। যেখানে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উভয় পরিবার অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়।

এই প্রসঙ্গে মঙ্গলপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর দরি লাল জানিয়েছেন যে, বিষয়টি পারস্পরিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান “দুই পক্ষ একে অপরকে দেওয়া জিনিসপত্র ও নগদ টাকা ফেরত দিয়েছে। এরপর কনে ছাড়াই বর চলে যায়।” এছাড়াও, বরপক্ষের তরফে ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার ভাড়া না করায় কনে রেগে গিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করে বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর