বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) জোর প্রস্তুতিতে মত্ত রাজ্যের শাসকদল। পাখির চোখ ২৩ পঞ্চায়েত জয়। সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে আজ, সোমবারই দু’দিনের সফরে বীরভূমে (Birbhum) পা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি কেষ্ট। তাই স্বাভাবিকভাবেই সবটা হচ্ছে ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে।
সূত্রের খবর, ৩১ জানুয়ারি বোলপুর থেকে সভা করতে মালদহ যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেদিনই জেলায় ফিরে আসার কথা তাঁর। অন্যদিকে ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সভারই এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। দলের সর্বাধিনায়িকাকে স্বাগত জানাতে সারা জেলা ঘিরে ফেলা হয়েছে বড় বড় ফেক্স দিয়ে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই ফ্লেক্সএ মুখ্যমন্ত্রী থেকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর মতো নেতাদের ছবি বড় বড় করে সাটানো হলেও কোথাও দূরবীন দিয়েও খোঁজ মিলছেনা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবির। আর এই নিয়েই শুরু জোর জল্পনা।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত এবার কী তবে কেষ্টকেও দল থেকে মুছে ফেলতে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। কারণ যেখানে খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায় কেষ্টকে বীরের তকমা দিয়েছেন বহুবার। পাশাপাশি মেয়র ফিরহাদ হাকিম অনুব্রতকে বাঘের সাথে তুলনা টেনেছেন বহুবার, সেখানে অনুব্রতহীন বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সফরে তাঁর ছবি না থাকায় ধন্দে সকলে।
এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা শাসকদলের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, “জেলা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনুব্রতর ছবি লাগানো হবে না, তাই তাঁর ছবি লাগানো হয়নি। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না।” তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত কেষ্টর ‘প্রভাবশালী’ তকমা মুছতেই এহেন কৌশল।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁকে বীরের আখ্যা থেকে শুরু করে নানা রকম আখ্যা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুতেই কিছু না হওয়ায়, আজ দল থেকে ছেঁটে ফেলতেই ফ্লেক্স থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল তৃণমূলের।’’