বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক অমিত শাহ (Amit Shah)। আত্মনির্ভর ভারতে বামপন্থী উগ্রবাদী আদর্শের কোনও স্থান নেই বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি সরকার বামপন্থী উগ্রবাদেরকে কোনও ভাবে সহ্য করবে না। এই প্রসঙ্গে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’
প্রসঙ্গত, বামপন্থী উগ্রবাদকে শিকড় থেকে উপড় যে নীতি গ্রহণ করেছে, তাতে তিনটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলি হল – কৌশলগত ও নির্মম ভাবে হিংসা দমন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি এবং উন্নয়নে জনসাধারণের অংশগ্রহণ। অমিত শাহ এদিন দাবি করেন মাওবাদী উপদ্রবকে বন্ধ করতে হলে সমস্ত দিক থেকে তাদের অর্থ সরবরাহকে আটকাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উগ্র বামপন্থীদের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে হ্রাস পেয়েছে গোটা দেশে। ২০১০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ২৪ শতাংশ বামপন্থী কট্টরপন্থীদের হামলায় প্রাণনাশের ঘটনা কম হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগে যেখানে দেশের ৯০টি জেলায় বামপন্থী উগ্রপন্থার প্রভাব ছিল, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বামপন্থী উগ্রবাদী সংগঠন যাতে কোনওরকম আর্থিক সাহায্য না পায়, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত দরকারি পদক্ষেপ করবে সরকার।
মাওবাদী প্রবণ এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই উদ্দেশ্যেই বিএসএফে এয়ার উইং নতুন বিমানচালক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করার ঘোষণা করেছেন শাহ। এদিকে মাওবাদীদের নিকেশ করার বিষয়ে শাহ জানান, রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধে উঠে প্রতিটি রাজ্যকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র।
সরকারি সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা আগের থেকে কমলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। কমেছে মাওবাদীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনাও। এবার মাওবাদীদের কার্যকলাপ পুরোপুরি ধ্বংস করতে সমস্ত রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায় কেন্দ্র। এরই মধ্যে, কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালের ভোটের আগে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।