বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজকালকার দিনে সঠিক খবর যাচাই করাটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থানের পর থেকে খবরের আদান প্রদানের বিষয়টি যত দ্রুত হয়েছে ততই বেড়েছে ফেক নিউজ এর আধিপত্য। রাজনৈতিক দলগুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব প্রত্যেকেই কখনো না কখনো এই ফেক নিউজের শিকার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যতই অগ্রগতি হচ্ছে ততই যেন লাগামছাড়া হয়ে উঠছে ব্যাপারটি।
এই ফেক নিউজের কবল থেকে বাঁচতে পারেননি তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। গত ১৩ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে আসছেন তিনি। দেশের জার্সির পাশাপাশি চেন্নাই সুপার কিংসের হলুদ জার্সিতেও আইপিএলে অনেক বড় বড় কীর্তি গড়েছেন স্যার জাদেজা। জাদেজা এমনিতে দিলদরিয়া মানুষ। তাকে বেশিরভাগ সময়ে হাসিখুশি থাকতে এবং নিজের আশেপাশের মানুষদের নিয়ে জমিয়ে থাকতে দেখা যায়। এমন ক্রিকেটারকে নিয়ে যে নানারকম আলোচনা হবে তাতে কোনো আশ্চর্যের ব্যাপার নেই।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেই জাদেজার সঙ্গেই এমন একটি ব্যাপার ঘটেছে যা সকলেই শুনে খুব আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছেন। হংকং ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের কৌতূহল মেটাতে ভারতীয় দলের হয়ে জাদেজা উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময় এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন যে কোনো গোপন সূত্র মারফত তিনি খবর পেয়েছেন যে ভারতীয় দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জাদেজার জায়গা হবে না কারণ তিনি একটি বিশেষ চোটে ভুগছেন। এই প্রশ্ন শুনে জাদেজা যা বলেছেন তা বেশ আশ্চর্যজনক।
জাদেজা সেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “আপনি যেটা বললেন সেটা একটা খুব ছোট উদাহরণ যে আমাদের চারপাশে কিভাবে রটনার ভিত্তিতে সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে। আপনার কথা তো তাও ভালো, আমি তো একবার শুনেছিলাম যে আমি নাকি মারা গেছি! অথচ আমি নিজেই তা জানতাম না। এর চেয়ে বড় ফেক নিউজ আমি আর দেখিনি। আমি মনে করি না এই জাতীয় রচনা গুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে। আমি মাঠে নেমে বিশ্বের হয়ে পারফরম্যান্স করতে পছন্দ করি এবং সেই ব্যাপারেই মনোনিবেশ করছি।”
জাদেজা আরো যোগ করে বলেছেন, “আমি দিনের-পর-দিন ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং অনুশীলন করে যাই আমি প্রত্যেকদিন নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে চাই যাতে প্রয়োজন এলে আমি নিজের দলকে জেতাতে সাহায্য করতে পারি।” জাদেজার সেই পরিশ্রমের ফসল রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই দেখা গেছে, যখন তাকে ক্রিজে পাঠানো হয়েছিল একজন পিঞ্চ হিটার হিসাবে। কিন্তু পরিস্থিতি আচমকাই বদলে যাওয়ায় তিনি সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ অন্য ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেন এবং ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।