এই গ্রামে ছিল না কোনো দুর্গাপুজো! রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের পুজোই সর্বজনীন এখানে, ভিড় জমে কুমারী পূজায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সমগ্র বাঙালি মেতে উঠেছে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে (Durga Puja)। পাশাপাশি, সপ্তমী পেরিয়ে মহা অষ্টমীর পূণ্যলগ্নে উপস্থিত হয়েছি আমরা। মর্তলোকে উমার আগমনের এই কদিন তাই চারিদিকেই ঠাকুর দেখা এবং প্যান্ডেল হপিংয়ের ব্যস্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি গ্রামের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেখানে ছিল না কোনো পারিবারিক বা সর্বজনীন পুজো। যেই কারণে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আক্ষেপও ছিল যথেষ্ট। যদিও, সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের মাধ্যমে।

There was no Durga Puja in this village

মূলত, প্রায় ৭০ বছর আগে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সাবডিভিশনের কাঁকসার দোমড়া গ্রামে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম তৈরি হওয়ার পরে শুরু হয় দুর্গাপুজো। যেটি এখন পরিণত হয়েছে সর্বজনীন পুজোতে। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে, এখন গ্রামের প্রতিটি স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোতে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন: ১ কিমি যেতে কত ইউনিট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ট্রেনের? জানলে হয়ে যাবেন “থ”

শুধু তাই নয়, এই কয়েকটি দিন একই সাথে আনন্দে কাটে সকলের। এক কথায়, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের এই দুর্গাপুজো, সর্বজনীন আকার ধারণ করে এখন সকলের পুজো হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে সেবাশ্রমের সভাপতি স্বামী আত্মানন্দ জানিয়েছেন যে, সেখানে দুর্গাপূজো সম্পন্ন হয় বেলুড় মঠের রীতি মেনে। পাশাপাশি অষ্টমীর দিন থেকে কুমারী পুজোর আয়োজনও। যেটি দেখার জন্য ভিড় জমান দূরদূরান্তের মানুষেরা।

আরও পড়ুন: পড়াশোনা ছেড়ে পরিশ্রম করেছেন দিনরাত! ২,০০০ টাকা দিয়ে ১০০ কোটি টাকার সাম্রাজ্য গড়েছেন এই যুবক

এর পাশাপাশি পুজোর প্রতিদিনই থাকে ভোগের ব্যবস্থাও। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সেবাশ্রমের স্থায়ী মন্ডপে সম্পন্ন হওয়া এই পুজোর একটি বিশেষ বিষয়ও রয়েছে। সেটি হল, সর্বত্র দশমীর দিনে বিসর্জন হলেও এখানে বিসর্জন হয় ত্রয়োদশীর দিন। এছাড়াও ওইদিন সেবাশ্রম সংলগ্ন মাঠে একটি গ্রামীণ মেলাও বসে। যেখানে আতশবাজির প্রদর্শনী হয়। আর এই ভাবেই বছরের পর বছর ধরে দোমড়া গ্রামের মানুষ মেতে উঠছেন সেখানকার রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের দুর্গাপুজোতেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর