বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া বেশ মুশকিল। সরকারি চাকরি হলে তো কথাই নেই! সেখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে চাকরিহারা হয়ে পড়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক (School Teacher) ও শিক্ষাকর্মী। সম্প্রতি ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন সকলে। এই আবহে বড় হুঁশিয়ারি দিলেন চাকরিহারারা।
শিক্ষক বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি চাকরিহারা শিক্ষকদের (School Teacher)!
সুপ্রিম-রায় আসার পরেই চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেই সভার আগে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সব বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে একে একে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে শুরু করেন শিক্ষকরা। সেই সময়ই বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন তাঁরা।
তমলুক নিবাসী এক চাকরিহারা স্কুল শিক্ষক (School Teacher) বলেন, যোগ্যরা সুবিচার পেল না। আপনার ব্যর্থতা, আপনার অযোগ্যতার জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হল। যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আপনি তৈরি করতে পারেননি বলে আজ যোগ্যরা রাস্তায়। আজকেই শেষ। এমন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব না। এরপর থেকে বিদ্রোহ হবে।
কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহের মতো এবার শিক্ষক বিদ্রোহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই শিক্ষক। আন্দোলন নয়, সব জায়গায় আগুন জ্বলবে। এমনই হুঁশিয়ারি চাকরিহারা স্কুল শিক্ষকদের।
আরেকজন শিক্ষক বলেন, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা না করায় সুপ্রিম কোর্ট আমাদের তালিকা বাতিল করল। আমাদের বাড়িতে বউ-বাচ্চা রয়েছে, কী খাব! আমাদের ওপর ঋণের বোঝা রয়েছে। উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলাম, তবে যাইনি। আমার বন্ধুবান্ধবরা সেখানে আছেন। একটা চাকরি ছেড়ে আমি এখানে এসেছি। এখন আমরা কী করব!
এদিকে গতকাল নেতাজি ইনডোর থেকে চাকরিহারা শিক্ষক (School Teacher) ও শিক্ষাকর্মীদেরর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘রঙ’ না দেখেই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, চাকরি কাড়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁদের ধিক্কার জানাই’। চাকরিহারাদের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে’।