বাংলা হান্ট ডেস্ক: শোভন যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি চলে গেলেও তৃণমূলের ক্ষতি হবে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন কিছু হবে না। তবে মঙ্গলবার শোভনকে যেভাবে দেখলাম ও সুস্থ থাকুক এটাই চাই। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেতৃত্ব যে শোভনের দলত্যাগকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, পার্থবাবুর মন্তব্যে সেই মনোভাব স্পষ্ট। বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে বুধবার ছিল সর্বদল এবং কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠক। তার পরে নিজের ধরে শোভন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘উনি তো আগেই চলে গিয়েছেন। মানে দলে থাকলেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন।’’ শোভনের দলত্যাগে কতটা ক্ষতি হল বলে মনে করেন? পার্থবাবুর জবাব, ‘‘কোনও ক্ষতিই হল না! আমি চলে গেলেও কোনও ক্ষতি হবে না! ক্ষতি হবে সে দিন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় থাকবেন না। মমতা যখন সক্রিয় আছেন, তখন আশেপাশে লতা-পাতা ওঁকে জড়িয়েই থাকতে হবে। ছেড়ে গিয়ে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। কত জনই তো গেল!’’ তবে শোভন যাতে সুস্থ থাকেন, সেই কামনাও করেছেন পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থবাবু।
গতবছর ২০ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চলছিল জল্পনা। ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্য দফতরে তাঁদের বরণ করে নেন দিলীপ ঘোষ। এখনও শোভনবাবু তৃণমূলের বিধায়ক। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল? পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অন্য বিধায়কদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম, সেটা ওনার জন্যেও প্রযোজ্য। পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলব। উনি পরিষদীয় নেত্রী।’
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ৬ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৫ বিধায়ককে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হলেও, শোভন চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ার এক সপ্তাহ পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত বুধবার বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ এই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জালিয়ানাওয়ালাবাগের শতবর্ষ পূর্তিতে বিশেষ বক্তব্য পেশ হবে অধিবেশনে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষ্যে হবে এই বিশেষ আলোচনা।