বাংলা হান্ট ডেস্ক: গণপরিবহণগুলিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেটি সবথেকে আগে প্রয়োজন হয় সেটি হল নির্ধারিত টিকিট। এমনিতেই আমরা দেখেছি ট্রেনে (Train) টিকিট পরীক্ষার জন্য টিকিট চেকার থাকেন। তবে, এবার ট্রেনের পাশাপাশি সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে বাসেও। অর্থাৎ, বাসে চড়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও চলছে লাগাতার টিকিট চেকিং।
ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে, টিকিট চেকিংয়ের দিকে নজর দেওয়ার পরে STU বাসগুলির টিকির বিক্রির পরিমাণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি রাজ্যের (West Bengal) পরিবহণ দফতর বিনা টিকিটের বাসযাত্রী এবং “অস্বচ্ছ” বাস কন্ডাক্টরদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
যার ফলে বিভিন্ন সরকারি বাসে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত, রাজ্য পরিবহণ নিগমের অধীনস্থ CSTC, CTC এবং WBSTC-র বাসগুলিতে টিকিট পরীক্ষকরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছেন।
এই বিষয়ে গত মে মাসের কিছু পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, অন্তত ১০০ টি বাসে এহেন চেকিং চালানো হয়েছে। এমনকি, মে মাসেই ৭২ জন যাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৭ জন কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।
আরও জানা গিয়েছে, আগে টিকিট পরীক্ষক অফিসারদের মোট ২ টি শিফট ছিল। তবে, এবার WBTC-র তরফে আরও ভালো চেকিংয়ের জন্য ৩ টি শিফটের চেকিং শুরু করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দীর্ঘ রুটের বাসগুলির জন্য সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চেকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি, শহরের পরিষেবার ক্ষেত্রে বাসে চেকিং হচ্ছে ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চেকিং স্কোয়াড মোতায়েন করে এই তল্লাশির বিষয়টি গত কয়েক মাসে আরও জোরদার করা হয়েছে। মূলত, এই চেকিংয়ের সম্মুখীন যাত্রীদের পাশাপাশি বাস কন্ডাক্টর এবং চালকদেরও হতে হচ্ছে। এদিকে, নিয়মভঙ্গের বিষয়টি সামনে এলেই করা হচ্ছে জরিমানা। জানা গিয়েছে, বিনা টিকিটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রায় ২০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ইউনিটে স্থানান্তর থেকে শুরু করে অপসারনের মত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে।