করোনা আতঙ্কে থমকে গেছে বিশ্ববাসী। সকাল আর সকালের মতন নেই রাতটাও কেমন শুনশান করছে। রাস্তা জন মানবহীন। কিন্তু রাত পেরোলেই নতুন এর ডাক দিয়ে আসবে নতুন বছর। প্রতি বারের মতন মিষ্টির দোকান খোলা নেই, নেই উপচে পড়া ভিড়। ফুলের দোকান খোলা থাকলেও হাতে গোনা কয়েক জন্য মানুষ জানান দিচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নববর্ষ মাটি করে দিয়েছে।
দোকানে দোকানে হালখাতা হবেনা, হবেনা জমিয়ে ভুরিভোজ। সেলের মার্কেট এবার হওয়ার আগেই মাঠে মারা গেছে অসংখ্য ব্যবসায়ীর পকেট। কিন্তু তার মধ্যেও থেমে নেই সময়। আজ রাস্তায় দেখা যাবেনা মানুষের ভিড়।কিন্তু কালীঘাটের মন্দিরের ছবিও একদম আলাদা। বহু ব্যবসায়ী নতুন খাতা পুজো করেন এখানেই।
বছরের পর বছর সেই চেনা দৃশ্য এবার করোনার অভিশাপ বদলে দিয়েছে । জানিনা কবে এই অভিশাপ বাঁধা পেড়িয়ে করোনা মুক্ত জীবন পাবে। তবে সব কিছুই তো নতুন করে শুরু করতেই হয় তাইনা। কিছুই যে থেমে থাকে না। কেউই ভাবেনি একদিন এভাবেই মৃত্যু ভয়ে ঘরে বসে কুঁড়ে কুঁড়ে মরতে হবে, না কেউই ভাবেনি এতো সুন্দর পৃথিবীটাও একদিন থমকে যাবে। কিন্তু হ্যাঁ তার মধ্যেই মানুষ রোজ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে আবার সব স্বাভাবিক হবে কোরোনার অভিশাপ কেটে যাবে। আর এভাবেই সব শেষ করে নতুনের সূচনা হবে।
ঠিক যেমন ভাবে পেরিয়েছে সর্বনাশের চৈত্র, আগামীর ডাক দিয়ে এসেছে শুভ নববর্ষ। কালীঘাটে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড, তার বাইরে থেকেই পুজো দিচ্ছেন সবাই। মনে একটাই প্রার্থনা, গোটা বিশ্ব দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক।